সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমনিচ্ছুদের জন্য নতুন সতর্কতা

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য প্রত্যাশী ও আবেদন করা ব্যক্তির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। আমেরিকা ও ইসরায়েলি প্রশাসনের সমালোচকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে ওয়াশিংটন। সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, গত ২৫ মার্চ এক চিঠিতে কূটনীতিকদের ওই নির্দেশনা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও। নির্দেশনা অনুযায়ী, কিছু শিক্ষার্থীর ভিসার আবেদন পাঠানো হয়েছে ফ্রড প্রিভেন্ট ইউনিট বা প্রতারণা প্রতিরোধ ইউনিটের কাছে। বিশেষ এই ইউনিট ওই শিক্ষার্থীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় তৎপরতা যাচাই করবে। যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ও ইহুদিবিরোধী মনোভাবের ইঙ্গিত মিললে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নির্দেশনার মূল লক্ষ্য, ফিলিস্তিনপন্থী আবেদনকারীদের ভিসা প্রত্যাখ্যান করা। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব আবেদনকারীর আচরণ বা অনলাইন কর্মকাণ্ড ‘যুক্তরাষ্ট্র বা এর সংস্কৃতির প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব’ প্রকাশ করে, তাঁদের ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে।

পররাষ্ট্র দপ্তর ইতিমধ্যে তিন শতাধিক ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন, যাদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী। রুবিও বলেন, ‘আমরা তাদের যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার সুযোগ দিচ্ছি, অ্যাকটিভিস্ট সেজে আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য নয়।’

ট্রাম্প প্রশাসনের ইহুদিবিদ্বেষ (অ্যান্টি সেমিটিজম) বিরোধী ব্যবস্থার আওতায় নেওয়া হচ্ছে এসব সিদ্ধান্ত। এরই মধ্যে নতুন নীতির আওতায় বহু বিদেশি শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে, অনেক শিক্ষার্থীকে দেশে ফেরতও পাঠানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি তুর্কি শিক্ষার্থী রুমাইসাকে আটকের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তিনি বোস্টন টাফটস ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করছিলেন। একটি ইফতারের আয়োজনে যোগ দিতে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। এ সময় একদল মুখোশধারী তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। পরে জানা যায় মুখোশধারীরা ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের কর্মকর্তা ছিলেন। রুমাইসার হাতে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে তাঁকে নিয়ে যান তাঁরা।

রুমাইসার ‘অপরাধ’  তিনি ক্যাম্পাস ম্যাগাজিনে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন, যেখানে তিনি ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়কে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুদান প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানান। এরই ভিত্তিতে তাঁকে হামাসের সমর্থক হিসেবে চিহ্নিত করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।

এরই জেরে ক্যানারি মিশন নামক একটি ইসরায়েলপন্থি ওয়েবসাইটের কালোতালিকাভুক্ত হন রুমাইসা। ওই ওয়েবসাইটে মূলত ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের তথ্য সংরক্ষণ করা হয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com