যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে থাকা অভিবাসীদের ধরে বিতাড়িত করছে আইএস। আগামী দিনে কেউ অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাকে স্বাগত জানাবে না দেশটি। পাশাপাশি বৈধভাবে এখানে আসার পর কেউ যদি আইন ভঙ্গ করেন, তাহলে তাকেও খুঁজে বের করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা হবে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্পষ্ট বার্তা রয়েছে, যদি কেউ এখানে অবৈধভাবে থাকেন, তাহলে তাকে খুঁজে বের করে নির্বাসিত করা হবে। তিনি আর কখনো এখানে ফিরে আসতে পারবেন না। তবে নথিপত্রহীনদের কেউ যদি স্বেচ্ছায় নিজ দেশে চলে যান, তাহলে ভবিষ্যতে তার ফিরে আসার এবং আমেরিকান স্বাধীনতা উপভোগ করার ও আমেরিকান স্বপ্নে বেঁচে থাকার সুযোগ থাকতে পারে। তিনি আরও বলেন, বিদেশিদের কেউ যদি অবৈধভাবে আমেরিকায় প্রবেশের কথা ভেবে থাকেন, তাহলে তাকে সেই চিন্তা বাদ দিতে হবে। তা ছাড়া বৈধভাবে এখানে এসেও কেউ যদি আইন ভঙ্গ করেন, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার জায়গা হবে না।
এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ। সংস্থাটি বহু মিলিয়ন ডলারের বিজ্ঞাপন প্রচারণা শুরু করছে, যাতে বিদেশিদের আমেরিকায় এসে আইন ভঙ্গ না করার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। অন্যথায় তাদের খুঁজে বের করে নির্বাসিত করা হবে। বিজ্ঞাপনের এই সিরিজটি রেডিও, সম্প্রচার এবং ডিজিটাল মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ এবং অঞ্চলে বিভিন্ন উপভাষায় প্রচারিত হবে। আন্তর্জাতিক দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য বিজ্ঞাপনগুলো হাইপার-টার্গেট করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া, টেক্সট মেসেজ এবং ডিজিটাল মাধ্যম।
বিজ্ঞাপনে বলা হচ্ছে, বিদেশ থেকে যারা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করার চেষ্টা করবেন বা দালালের মাধ্যমে সীমান্ত দিয়ে আসার পরিকল্পনা করছেন, তাদের এখানে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। এর পরও কেউ যদি এমনটি করেন, তাকে বর্ডার থেকেই ফেরত পাঠানো হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা এ দেশ থেকে বিতাড়িত হওয়ার অর্ডার পেয়েছেন, তাদের লুকিয়ে না থেকে স্বেচ্ছায় চলে যাওয়াই উত্তম। তবে যাওয়ার আগে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত না নিয়ে একজন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা উচিত। আইনজীবী বা অ্যাটর্নি যদি বলে দেন কোনো উপায় নেই, তাহলে তিনি চলে যেতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে নীরবে চলে না গিয়ে সেলফ ডিপোর্ট অ্যাপে নিবন্ধন করে যাওয়া ভালো। কারণ এসব মানুষকে আগামী দিনে আবার যুক্তরাষ্ট্রে আসার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। মনে রাখতে হবে, যারা স্বেচ্ছায় চলে যাবেন, তাদের সবাই ফিরতে পারবেন না। তারাই ফিরতে পারবেন, যারা এ দেশে আসার সব ধরনের শর্ত ও যোগ্যতা পূরণ করতে পারবেন, গুড মোরাল ক্যারেক্টার হবেন, সেই সঙ্গে ভিসা অফিসার যদি ভিসা দেন, তাহলেই তারা ফিরতে পারবেন। এ বিষয়ে একজন অ্যাটর্নি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্বেচ্ছায় নিবন্ধন করে চলে গেলেই ফিরতে পারবেন বা অগ্রাধিকার পাবেন, বিষয়টি এমন নয়। তাদের মধ্যে যারা উপযুক্ত হবেন এবং আসার জন্য আবেদন করবেন, তারা যোগ্য হলে আসতে পারবেন।
তবে স্বেচ্ছায় নির্বাসনের সুযোগ তৈরি হলেও অনেকের মধ্যে এ নিয়ে ভয় কাজ করছে। স্বেচ্ছায় চলে গেলে আবার আসার সুযোগ দেওয়া হবে কি না, এ নিয়ে তারা চিন্তিত।