কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহারের কারণে বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি মানুষ চাকরি হারাতে পারেন। তবে এর বদৌলতে নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকসের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি বলা হয়েছে। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রমবাজারে এআইয়ের ব্যাপক প্রভাব পড়বে। যুক্তরাষ্ট্রে ও ইউরোপের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ ফুলটাইম চাকরি হারাতে পারেন। মার্কিন কোম্পানিগুলো ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ মানুষের কাজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে করতে পারে।
অবশ্য শ্রম উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারে এআই। সবমিলিয়ে বৈশ্বিক জিডিপি ৭ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে এটি। এতে সুনির্দিষ্ট কিছু কাজ বেশি প্রভাবিত হবে। তবে যেসব কাজে প্রচুর শারীরিক শ্রম প্রয়োজন, সেগুলোতে প্রভাব কম পড়বে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিভিন্ন দেশে অফিস ও প্রশাসনিক সহায়তার চাকরি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে এআই। এটি মানুষের ৪৬ শতাংশ চাকরি প্রভাবিত করবে। ৪৪ শতাংশ আইনি কাজ, ৩৭ শতাংশ স্থাপত্য এবং প্রকৌশল কাজে প্রভাব ফেলবে।
তাছাড়া ৩৬ শতাংশ জীব, পদার্থবিদ্যা, ও সামাজিক বিজ্ঞানের চাকরি এবং ৩৫ শতাংশ ব্যবসা ও আর্থিক অপারেশনের চাকরি প্রভাবিত করবে এআই। তবে পরিচ্ছন্নতা ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে মাত্র ১ শতাংশ চাকরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইনস্টলেশন, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত সংক্রান্ত কাজ ৪ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নির্মাণকাজের সঙ্গে জড়িত চাকরি ৬ শতাংশ পর্যন্ত প্রভাবিত হতে পারে।
সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ শতাংশ এবং ইউরোপে ২৪ শতাংশ চাকরিতে প্রভাব ফেলবে এআই। হংকং, ইসরায়েল, জাপান, সুইডেন ও যুক্তরাষ্ট্রে যার সর্বোচ্চ প্রভাব পড়বে। তবে চীন, নাইজেরিয়া, ভিয়েতনাম, কেনিয়া ও ভারত সবচেয়ে কম প্রভাবিত হবে।