যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা সবারই স্বপ্নের ব্যাপার। অসংখ্য শিক্ষা বৃত্তির সুযোগ দিয়ে থাকে বিশ্বের পরাশক্তির এই দেশটি। হুবার্ট এইচ. হামফ্রে ফেলোশিপও তেমনি একটি বৃত্তি। এই ফেলোশিপ কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ফুলব্রাইট কার্যক্রমগুলোর অন্যতম।
২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে এই কর্মসূচির জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করেছে ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। এক বছরের এই কর্মসূচি এনজিওসহ সরকারি ও বেসরকারি খাতে কর্মরত পেশাজীবী প্রার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।
কারা আবেদন করতে পারবেন
এই ফেলোশিপের আওতায় মধ্য-পর্যায়ের মেধাবী পেশাজীবীরা যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতক পর্যায়ে এক বছরের ডিগ্রীবিহীন অধ্যয়ন কার্যক্রমে অংশ নিয়ে তাদের নেতৃত্বদানের দক্ষতার বিকাশ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুরূপ কার্যক্রমে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের সাথে পেশাগত দক্ষতা বিনিময়ের সুযোগ লাভ করেন।
এই কর্মসূচি ভবিষ্যতের নেতৃত্ব ও নীতি-নির্ধারকদের যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ, সংস্কৃতি ও পেশাগত ক্ষেত্রগুলোর সাথে পরিচিত করার মাধ্যমে আমেরিকানদের সাথে বিদেশি পেশাজীবীদের একটি স্থায়ী ও ফলপ্রসূ সম্পর্ক গড়ে তোলার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
যেসব বিষয়ে ফেলোশিপ দেওয়া হয়
মানব ও প্রাতিষ্ঠানিক সামর্থ্য, অধিকার ও স্বাধীনতা, টেকসই ভূমি এবং সমৃদ্ধশালী সম্প্রদায়, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে জনস্বাস্থ্য, ছোঁয়াচে রোগ ও শিক্ষা ব্যবস্থাপনা।
ফেলোশিপের অধ্যয়নের বিষয় ও আবেদন করার যোগ্যতার মানদণ্ড বিষয়ে আরো তথ্যের জন্য https://bd.usembassy.gov/bn/26031-bn/ ওয়েবসাইটে দেখতে পারেন।
যেসব সুযোগ-সুবিধা পাবেন
হামফ্রে ফেলোশিপের আওতায় রয়েছে, শিক্ষাসংক্রান্ত খরচ, ইংরেজি শিক্ষা কার্যক্রমের খরচ, থাকা-খাওয়ার জন্য মাসিক ভাতা, বীমা সুবিধা, বইপত্র ও শিক্ষা উপকরণ ভাতা, যাওয়া-আসার আন্তর্জাতিক বিমানভাড়া, পেশাগত কার্যক্রম যেমন মাঠপর্যায়ে যাতায়াত ও সম্মেলনে অংশগ্রহণ এবং ইন্টার্নশিপ-সংশ্লিষ্ট ব্যয়ভার বহন করা হবে।
একজন আবেদনকারীকে আবেদনের জন্য প্রথমে https://apply.iie.org/huberthhumphrey লিঙ্কে গিয়ে একটি IIE অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং আবেদন ফরম ও প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ একটি পূর্ণাঙ্গ আবেদন প্যাকেজ জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩ জুলাই, ২০২১।
ফেলোশিপ সম্পর্কে আরও তথ্যের প্রয়োজনে প্রফেশনাল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম ম্যানেজার মিজ সৈয়দা কাশফি চৌধুরী’র সাথে ইমেইলে যোগাযোগ করতে পারেন। ইমেইল ঠিকানা [email protected].