যুক্তরাষ্ট্রে চালু হতে যাচ্ছে নতুন ভিসা-বন্ড ব্যবস্থা। ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের ঘোষণা অনুযায়ী, এর পাইলট প্রোগ্রাম কার্যক্রম শুরু হবে ২০ আগস্ট। তবে প্রাথমিক এ তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। যদিও পরবর্তী সময়ে এতে অন্য দেশকে যুক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক গণমাধ্যমের খবরগুলোতে দাবি করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের ঘোষণা অনুযায়ী, প্রথম দফায় শুধু মালাউই ও জাম্বিয়ার নাগরিকরাই এ ব্যবস্থার আওতায় আছেন, যা ২০ আগস্ট শুরু হয়ে ১২ মাসব্যাপী চলবে। এ পাইলট প্রকল্প বি-১ (ব্যবসায়িক) ও বি-টু (পর্যটন) ভিসাধারী নির্দিষ্ট কিছু দেশের নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এর আওতায় ভিসা আবেদনকারীকে ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ ‘ভিসা-বন্ড’ হিসেবে জমা দিতে হবে। ভিসার শর্ত মেনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়লে বন্ড ফেরত দেয়া হবে। তবে কোনো শর্তভঙ্গ বা মেয়াদ অতিরিক্ত হলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে।
আবেদনকারীদের নির্ধারিত এয়ারপোর্ট বোস্টনের লোগান, নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি এবং ওয়াশিংটনের ডালাস থেকেই প্রবেশ ও প্রস্থানের শর্ত মেনে চলতে হবে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে নতুন এ ব্যবস্থা নিয়ে জাম্বিয়া সরকার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা দাবি করেছে, এ সিদ্ধান্ত ‘অত্যন্ত আর্থিক চাপ সৃষ্টি করবে’।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ভিসা-বন্ড প্রোগ্রাম যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ ও অভিবাসন নীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। এটি বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ ও ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে ওভারস্টে অর্থাৎ অনুমোদিত সময়ের বাইরে অবস্থানের প্রবণতা বেশি থাকা দেশের নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণ ও সতর্ক করার জন্য। ভবিষ্যতে যদি অন্য দেশ এ তালিকায় যুক্ত হয়, তাহলে তা ভিসা আবেদনকারীদের জন্য বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।