কানাডার বড় পেনশন তহবিলের একটি অন্টারিও টিচার্স পেনশন প্ল্যান (ওটিপিপি)। কোম্পানিটি যুক্তরাজ্যে বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরের মালিকানার সঙ্গে যুক্ত।
কানাডার বড় পেনশন তহবিলের একটি অন্টারিও টিচার্স পেনশন প্ল্যান (ওটিপিপি)। কোম্পানিটি যুক্তরাজ্যে বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরের মালিকানার সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যে রয়েছে বার্মিংহাম, ব্রিস্টল ও লন্ডন সিটি বিমানবন্দর। সম্প্রতি এ তিন বিমানবন্দরের মালিকানা বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে ওটিপিপি। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
কভিড-১৯ মহামারীজনিত বিধিনিষেধের কারণে বেশ কয়েক বছর ভুগছে বৈশ্বিক এভিয়েশন খাত। সম্প্রতি এয়ারলাইনস শিল্পে প্রবৃদ্ধি পুনরুদ্ধারের দিকে থাকায় এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে ওটিপিপি। কারণ নগদ অর্থ পাওয়ার জন্য এখনই ভালো সময় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
কোপেনহেগেন ও ব্রাসেলসের বিমানবন্দরসহ পেনশন তহবিলটির পোর্টফোলিওর আকার ১ হাজার কোটি পাউন্ডের বেশি।
ওটিপিপি মালিকানায় থাকা বিমানবন্দরগুলোর শেয়ার ছোট বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করার বিষয়ে আলোচনা করছে বলে জানা গেছে। ছোট বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ৩০ দিন পর্যন্ত সময় পাবে।
সানডে টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, বিমানবন্দরগুলোয় ওটিপিপির শেয়ারের পরিমাণ ২৫-৭০ শতাংশ। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা যদি আগ্রহী না হয়, তবে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকারী ম্যাককুরিসহ সম্ভাব্য ক্রেতার কাছে যেতে পারে ওটিপিপি।
মহামারীর সময় এয়ারলাইনস শিল্প মুখ থুবড়ে পড়ে। তবে বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর থেকে দ্রুতই স্বাভাবিক হতে শুরু করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হিথ্রো বিমানবন্দর আবার মুনাফায় ফিরেছে এবং জুলাইয়ে সাপ্তাহিক হিসেবে রেকর্ড যাত্রী পরিবহন করেছে।
এয়ারলাইনস শিল্পের পুনরুদ্ধার শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে অন্যান্য কানাডিয়ান পেনশন তহবিলসহ বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলেছে। কানাডিয়ান সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর জন্য পেনশন তহবিল পরিচালনা করে পিএসপি ইনভেস্টমেন্টস। চলতি মাসে তারা ফেরোভিয়াল ও ম্যাককুরি থেকে ১৫০ কোটি পাউন্ডের চুক্তিতে অ্যাবারডিন, গ্লাসগো ও সাউদাম্পটন বিমানবন্দর পরিচালনাকারী সংস্থা কিনেছে।
যুক্তরাজ্যের লেবার সরকার বিদেশী বিনিয়োগসহ অন্যান্য প্রকল্পে সফলতায় নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তারা চাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীরা স্থানীয় সম্পদের প্রতি আরো আগ্রহ দেখাক, যাতে পেনশনভোগীরা মুনাফা থেকে উপকৃত হতে পারেন।
শিক্ষক, পৌর ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের পেনশন তহবিলের ১ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন পাউন্ড অর্থ পরিচালনা করে ওটিপিপি ও পিএসপি।
এদিকে স্থানীয় সরকার পেনশন প্রকল্প ও কর্মক্ষেত্রের পেনশন প্রোগ্রামগুলোকে কয়েকটি বড় পেনশন তহবিলে একত্র করার পরিকল্পনা বিবেচনা করছে যুক্তরাজ্য। দেশটির সরকারের নেয়া এ প্রকল্প ‘মেগাফান্ড’ নামে পরিচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অর্থনৈতিক স্থবিরতার কারণে যুক্তরাজ্যে সরকারি ঋণ বেড়েই চলেছে। বর্তমানে উচ্চ ঋণ ও খরচ না বাড়িয়ে সরকারি পরিষেবা দেয়া দেশটির জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।