আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন কাউন্সিল অব ইউরোপ নতুন এক প্রতিবেদনে বলেছে, যুক্তরাজ্যের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর অবস্থা কোনো কোনো ক্ষেত্রে ‘কারাগারের মতো’। এগুলো উন্নতির অনেক সুযোগ আছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনটির ইউরোপীয়ান কমিটি ফর দ্য প্রিভেনশন অব টর্চার বা সিপিটির এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ডিটেনশন সেন্টার’ বা অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর অবস্থা উন্নত করতে যুক্তরাজ্যকে এখনো বহুদূর পথ পাড়ি দিতে হবে।
গত বছর সিপিটি যুক্তরাজ্যের চারটি ডিটেনশন সেন্টার পরিদর্শন করে। এগুলো হলো– নিউক্যাসল শহরের কাছে ডেরওয়েন্টসাইড, গ্যাটউইক বিমানবন্দরের ব্রুক হাউজ, কোলনব্রুক ও লন্ডন এলাকায় হারমন্ডসওয়ার্থ কেন্দ্র।
প্রতিবেদন বলছে, অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর অনেক রুমে প্রয়োজনীয় সব জিনিসই আছে। যেমন– কোনো কোনো রুমে টেলিভিশন, আলমারি, শোবার জায়গা এবং সহজে খোলা যায় এমন জানালাও আছে। তবে ব্রুকহাউজ ও কোলনব্রুককে ‘কারাগারের মতো’ বলছে সিপিটি।
তাদের মতে, এগুলোতে লোক রাখার মতো অবস্থা নেই।
এসব কেন্দ্রে থাকা অনেকে বলেছেন, ঠিকমতো বায়ু চলাচল করতে পারে না, তাই তাদের মাথাব্যথা হয়। কেউ কেউ বলেছেন, ঘরে ছাঁচ পড়ে গেছে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
সিপিটি এমনকি চারটি আশ্রয়কেন্দ্রেই খাবারের মান ও পরিমাণ নিয়ে অভিযোগ পেয়েছে।
আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর কর্মীরা শারীরিকভাবে আশ্রয়প্রার্থীদের হেনস্তা করেছেন বলে অভিযোগ পায়নি সিপিটি। তবে কোলনব্রুক ও হারমন্ডসওয়ার্থে খারাপ আচরণের অভিযোগ পেয়েছে।
সিপিটি আরও বলছে, কেন্দ্রগুলোতে মানসিক চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে যাদের মানসিক অবস্থা খুব খারাপ তাদের মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর বিষয়টি একটি চ্যালেঞ্জ।
এমনকি এমন লোকও এসব কেন্দ্রে আছেন, যাদের এখানে আবদ্ধ অবস্থায় থাকার মতো মানসিক অবস্থা নেই। যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী, কেউ মানসিক ও শারীরিকভাবে যেকোনো ধরনের আটক অবস্থায় থাকার মতো অবস্থায় না থাকলে তাকে সেখান থেকে ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু সিপিটি বলছে, এসব কেন্দ্রে এর ব্যত্যয় ঘটেছে।
যুক্তরাজ্য সরকার সিপিটির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বলে প্রতিবেদন করেছে ইউরো নিউজ।