কেউ ভ্রমণকে ভালোবেসে চাকরী ছেড়ে দেন আর কেউ ভ্রমণকেই চাকরী হিসেবে বেছে নেন। আজকে আমরা জানবো এমন সাতজন উদ্যোক্তা সম্পর্কে, যারা ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন আর সেই ভালোবাসা থেকেই তৈরী করেছেন ট্র্যাভেল কোম্পানি।
আমি জানতামই না ওয়ার্ডপ্রেস কিংবা এসইও কি! আমি কখনোই ভাবিনি এই কাজ দিয়ে এতদূর অবধি আসা সম্ভব হবে!
Source:entrepreneur.com
মার্চেন্ট তাঁর দুজন সহকর্মীর সামনে এই আইডিয়া পিচ করেন। তাঁরা এই কাজ একসাথে শুরু করার প্ল্যান করতে থাকেন। একদিন ‘ব্ল্যাক টমেটো’ এর প্রতিষ্ঠাতা মাছ ধরছিলেন আর মার্চেন্টের সাথে কথাও বলছিলেন। তখন তাঁরা ঠিক করেন যে, তাঁরা এই আইডিয়া নিয়েই কাজ করবেন। মার্চেন্ট বলেন,
আমরা ভিজিটরদের ট্রাভেলার হিসেবে দেখতে চাই, টুরিস্ট হিসেবে নয়!
ওয়েইড এর যখন ছয় বছর বয়স, তখন তিনি হুয়াই ভ্রমণে যান। তাঁর বাবা-মা দুজনেই উদ্যোক্তা ছিলেন। তিনি যখন পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনের পর চাকরী করতে গেলেন, তখন তিনি বুঝতে পারলেন তাঁর দ্বারা চাকরী করা সম্ভব নয়। ১৯৯৮ সালের দিকে যখন তিনি আইডিয়া খুজছিলেন, তখন তাঁর কাছে মনে হলো তাঁর ট্র্যাভেল নিয়েই কাজ করা উচিত। আর তারপর থেকেই শুরু হলো ‘ইন্টারপিড ট্রাভেল’ এর যাত্রা!
সাত প্রজন্ম ধরে পল এর পরিবার ট্র্যাভেল ব্যবসার সাথে জড়িত। পল এর এই উদ্যোগ নেয়ার ক্ষেত্রে, এটা একটি বিশেষ কারণ। ২৭ বছর বয়সে তিনি আইন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেন এবং তিনি সেখানে ‘আইনজীবী ট্র্যাভেল গাইড’ নামে একটি ক্লাস করেন, যেখানে ট্রাভেলারদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করে, বিভিন্ন কৌশল বর্ননা করা হতো। আর সেখান থেকেই তিনি পেয়ে যান তাঁর যুগান্তকারী আইডিয়া।
Source:tech.co
হোটেল টুনাইট এর লক্ষ্য হচ্ছে মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্যে, হোটেল বুকিং করাটাকে আরো সহজ এবং আকর্ষণীয় করে তোলা।
শ্যাংক, প্রথমবার যখন কোস্টারিকা ভ্রমণে যান, তখন সেখানকার হোটেলগুলো তাঁর কাছে এতটাই ভালো লেগেছিলো যে, তিনি ঠিক করেছিলেন, হয় হোটেল কোম্পানি করবেন, নাহয় ভ্রমণ করতে করতে এক হোটেল থেকে আরেক হোটেলে ঘুরে বেড়াবেন। ‘হোটেল টুনাইট’ এর সফটওয়্যার থেকে হোটেল বুকিং ছাড়াও, একেবারে শেষ মুহূর্তে ছাড়সহ বিভিন্ন হোটেল বুক করা যায়।
তারা স্বপ্ন দেখেছেন, তারা প্যাশনকে ভালোবেসে টিকিয়ে রেখেছেন, যারা তাদের কাজকে সম্মান করে এসেছেন, তারাই উদ্যোক্তা। ভ্রমণকে ভালোবেসে তারা ভ্রমণকেই তাদের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। ভালোবাসাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে কয়জনই বা পারেন?