একটি দেশের নাগরিক যখন অন্য দেশে ভ্রমণে যেতে চান তখন তার পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হয়। এরপর পাসপোর্টে ভিসা লাগে। পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া বিদেশ যাওয়ার কথা যেনো চিন্তাই করা যায় না। কিন্তু বিশ্বে এমন কিছু মানুষ আছেন যাদের আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ভ্রমণের জন্য কিছুই লাগে না। এদের জন্য পাসপোর্ট ভিসার প্রয়োজন হয় না। এসব মানুষ সম্পর্কে জানার আগে জানুন পাসপোর্ট ও ভিসা কী?
পাসপোর্ট কী?
পাসপোর্ট এক ধরনের ভ্রমণ নথি, যা সাধারণত একটি দেশের সরকারকর্তৃক জারি করা হয়। এটি আন্তর্জাতিক ভ্রমনের সময় বাহকের জাতীয়তা ও পরিচয় প্রত্যয়িত করে। একটি পাসপোর্টে সাধারণত বাহকের নাম, জন্মের তারিখ ও স্থান, ছবি, স্বাক্ষর, এবং অন্যান্য চিহ্নিতকরণের তথ্য থাকে।
ভিসা কী
ভিসা একটি অনুমতি পত্র যা একটি দেশ কোন বিদেশী নাগরিককে ঐ দেশে প্রবেশ ও অবস্থানের জন্য দিয়ে থাকে। ভিসা ছাড়া ভিন দেশে প্রবেশ ও অবস্থান অবৈধ অভিবাসন হিসাবে পরিগণিত। সাধারণত: পাসপোর্ট বা ট্রাভেল পারমিটের কোন একটি পাতায় লিখে, সীল দিয়ে বা স্টিকার লাগিয়ে ভিসা প্রদান করা হয়। দেশের বিদেশস্থ দূতাবাসগুলো ভিসা দিয়ে থাকে। সাধারণত: ভিসা প্রদানের জন্য দূতাবাসে কনস্যুলার শাখা থাকে।
বিদেশে যেতে কাদের পাসপোর্ট ভিসা লাগে না?
সারা বিশ্বে এমন তিনজন রয়েছেন, যারা যেকোনো দেশে ভ্রমণ করতে পারেন পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়াই।
কোন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান যারা এক দেশ থেকে অন্য দেশে যখন যান, তাদেরও পাসপোর্ট প্রয়োজন হয়, তাদের বিশেষ পাসপোর্ট দেওয়া হয়ে থাকে। কারা সেই ব্যক্তি বর্গ, যাদের কোনো দেশে যেতে গেলে পাসপোর্ট লাগে না, একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
যে তিনজনের কথা নিয়ে আলোচনা, তারা হলেন ব্রিটেনের রাজা, জাপানের রাজা ও জাপানের রানি। বিদেশে যেতে তাদের পাসপোর্টের প্রয়োজন হয় না।
যতদিন রানি এলিজাবেথ ছিলেন, ততদিন তারও একই অধিকার ছিল। চার্লস রাজা হওয়ার পরে তিনিও সেই অধিকার পেয়েছেন। তবে শুধু রাজা চার্লসেরই অধিকার রয়েছে। পরিবারের অন্য সদস্যদের অবশ্য এই সুবিধা কিংবা সম্মান নেই। অর্থাৎ চার্লসের পরিবারের অন্য সদস্যদের বিদেশ যাত্রার সময় পাসপোর্টের প্রয়োজন হবে।
অন্যদিকে কোনো দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিদেশযাত্রার সময় পাসপোর্টের প্রয়োজন হয়। তাদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট থাকে। যা তাদেরকে ভিন দেশে বিশেষ মর্যাদা দেয়। এছাড়াও বিমানবন্দরে তাদেরকে সাধারণের মতো অপেক্ষাও করতে হয় না। প্রটোকল অনুযায়ী প্রত্যেক দেশেরই বিশেষ কিছু মানুষের কাছে কূটনৈতিক পাসপোর্ট রয়েছে।