বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০১ অপরাহ্ন

মেলানি’জ ল’: গৃহ সহিংসতায় সুরক্ষা দিতে বয়সসীমা থাকবে না, আইন পাশ করছে নিউইয়র্ক

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩

গৃহ অভ্যন্তরীণ সহিংসতার বিরুদ্ধে বয়সসীমা নির্বিশেষ আদেশ দিতে পারবেন নিউইয়র্কের আদালতগুলো। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব আইনসভায় উভয়পক্ষের সমর্থনে চূড়ান্ত হচ্ছে। নিউইয়র্কের হাডসন ভ্যালির এক নারী তার মায়ের সাবেক বয়ফ্রেন্ডের হাতে নিগৃহীত ও নিহত হওয়ার পর বিষয়টি গুরুত্ব পায়। যার ধারাবাহিকতায় এ সংক্রান্ত আইনের সংস্কারে এক মত হচ্ছেন নিউইয়র্কের উভয় দলীয় স্টেট সেনেটররা।

মেলানি শিয়ানিজের,২৯, নামে ওই নারী গৃহ সংহিসতার শিকার হন ২০২২ সালের জুনে। তার মায়ের সাবেক বয়ফ্রেন্ড তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। মেলানি নিজেও ছিলেন এক অটিস্টিক শিশুর মা।

মেলানির মা শেরিল শিয়ানিজ আদালত থেকে আগেই প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ডের বিরুদ্ধে যোগাযোগে নিষেধাজ্ঞা নিয়েছিলেন। একই নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছিলেন মেলানিও। কিন্তু এই আইন কেবল শিশুদের (মাইনর) জন্য প্রযোজ্য বলে মেলানি আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। যার করুণ পরিণতি বরণ করতে হয় তাকে।

বিষয়টি আদালতে গড়ালে তা গুরুত্ব পায় আইন প্রণেতা ও অধিকারকর্মীদের কাছে। আইনটি সংশোধনের দাবি উঠতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন করে আইনে সংশোধন আসছে। যা মেলানি’জ ল’ নামেই পরিচিতি পেয়েছে।

ডেমোক্রেটিক স্টেট সেনেটার মিশেল হিনসে বলেন, আইনটির সংস্কার হলে মেলানির মত আরো অনেককে এমন পরিণতি বরণ করতে হবে না। এ ধরনের পরিস্থিতিতে গৃহ অভ্যন্তরীণ সহিংসতা থেকে পরিবারগুলোকে সুরক্ষা দেয়া সম্ভব হবে।

বিষয়টিকে কমনসেন্স লেজেস্ট লেসন হেসে উল্লেখ করে এই স্ট্রাকচারেটর আরো বলেন আইনটিতে একটি গলদ রয়েছে এবং আমি মনে করি আইনসভায় আমরা সকলে মিলে এর সংশোধনী নিশ্চিত করতে পারবে এবং গৃহ সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার মানুষগুলোকে সুরক্ষা দিতে পারব।

অ্যাসেম্বলিম্যান অনিল বিফান জুনিয়র ও সেনেটর রব রলিসনের উত্থাপিত এই বিলে কো-স্পন্সর হিসেব রয়েছেন অ্যাসেম্বলিম্যান ব্রায়ান মাহের।

মাহের বলেন, গৃহ অভ্যন্তরীন সহিংসতা শুধু এক জনের ওপরই হয় না, কিংবা প্রভাব ফেলে না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গোটা পরিবার। এ অবস্থায় যে কোনো সহিংস ব্যক্তি থেকে সুরক্ষা দিতে হবে গোটা পরিবারকেই।

মেলানি শিয়ানিজও যদি তার আবেদনের পর আদালত থেকে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার জীবন থেকে দূরে থাকার নির্দেশনা পেতেন তাহলে তাকে জীবন দিতে হতো না, বলেন তিনি।

আমি আশা করি আগামী ৮ জুন চলতি অধিবশন শেষ হওয়ার আগেই আমরা উভয়পক্ষ এই বিলের ব্যাপারে একমত হয়ে তা পাশ করাতে পারবো, বলেন রব রলিসন।

তিনি বলেন, উভয় পক্ষের পূর্ণাঙ্গ সমর্থন রয়েছে, আর আমরা দিন-রাত এক সঙ্গে কাজ করছি যাতে আইনটির এই জটিল বিষয়ে আমরা একটা সুষ্ঠু সমাধান আনতে পারি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com