একপাশে সমুদ্রের গর্জন ও অন্যপাশে সবুজে মোড়ানো উঁচু পাহাড় থেকে দিচ্ছে সবুজের হাতছানি। এমন নৈসর্গিক সৌন্দর্যের বুক চিড়ে চলে গেছে মেরিন ড্রাইভ সড়ক।
এমনই অবারিত সুন্দরের মাঝখান দিয়ে পর্যটকদের নিয়ে ছুটে চলে ছাদখোলা বাস। সে এক অন্যরকম অনুভূতি।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করে ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাস। যা কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের জন্য যেন এক নতুন দিগন্ত।
লাবণী পয়েন্টে থেকে বাসটির যাত্রা শুরু হয় যা গিয়ে থামে রেজুখাল পয়েন্টে। এরপর বিরতি দিয়ে আবার শুরু হয় যাত্রা।
মেরিন ড্রাইভের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট ভ্রমণের পর বাস গিয়ে থামে টেকনাফের সাবরাংয়ে। এরপর পুরো দিন মেরিন ড্রাইভে কাটিয়ে সন্ধ্যায় ফের ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাসে চড়ে ফেরে ভ্রমণপিপাসুরা। পাহাড়, সাগর ও প্রকৃতিকে খুব কাছ থেকে উপভোগের সুবর্ণ সুযোগ বলে মনে করছেন তারা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, যাত্রী চাহিদা বাড়লে ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। প্রথমদিকে দুটি বাস দিয়ে যাত্রা শুরু হলো। আশা করি, আরও দুটি ট্যুরিস্ট বাস খুব শিগগিরই যুক্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, এই ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাসের যাত্রার মাধ্যমে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
‘দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ সড়কজুড়েই সুন্দরের হাতছানি। সারি সারি ঝাউ বীথি, পাহাড় সমুদ্রের মেলবন্ধন মুগ্ধ করে ভ্রমণপিপাসুদের- বলেন সাংবাদিক মাঈন উদ্দিন শাহেদ।
প্রথম দিন যাত্রা শেষে বাসে চড়ার অনুভূতি ব্যক্ত করেন আলম মোস্তফা। তিনি বলেন, ভ্রমনটি সত্যিই আনন্দদায়ক ছিল। মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে দেখতে ছুটে চলা, অন্যরকম শিহরণ জাগায় মনে।
বাসটিতে একদিনের প্যাকেজে জনপ্রতি খরচ হবে আপার ডেকে সাতশ টাকা আর লোয়ার ডেকে ছয়শ টাকা। এর টিকিট মিলবে লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে।