বিশ্বের ৫০টি সেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, মাস্টার্স বা পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনকারীদের জন্য নতুন একটি ভিসা প্রক্রিয়া চালু করেছে যুক্তরাজ্য।
এক্ষেত্রে, আবেদনকারীর জন্মস্থানের পরিবর্তে মেধাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া আবেদনের পূর্বে যুক্তরাজ্যে কোনো চাকরির অফারও থাকতে হবে না।
অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রীধারীদের জন্য ভিসার মেয়াদ দুই বছর। আর পিএইচডি ডিগ্রীধারীদের জন্য ভিসার মেয়াদ হবে তিন বছর। প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ সাপেক্ষে কেউ কেউ দীর্ঘ মেয়াদী কাজেও যোগ দিতে পারেন।
একজন শিক্ষার্থী যে বছর তার ডিগ্রী অর্জন করবে, সে বছর তার বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’, ‘কোয়াকোয়ারেলি সাইমন্ডস’ এবং ‘দ্য অ্যাকাডেমিক র্যাংকিং অফ ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি’ তিনটির যেকোনো দুইটি র্যাংকিং এর তালিকায় সেরা ৫০ এর মধ্যে থাকতে হবে।
প্রতি বছর ওই তিনটি সাইট বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা প্রকাশ করে। এছাড়া ডিগ্রীধারীরা নিজেদের সাথে পরিবারের সদস্যদেরকেও যুক্তরাজ্যে নিয়ে যেতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে পরিবারের খরচ চালানোর জন্য ১২৭০ পাউন্ড থাকতে হবে।
আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর পূর্বে কোনো অপরাধমূলক কর্মকান্ড আছে কিনা তা যাচাই করা হবে। পাশাপাশি ইংরেজিতে ন্যূনতম বি-ওয়ান ইন্টারমিডিয়েট লেভেল অর্থাৎ স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগের উপযোগী হতে হবে।
মূলত নিজ নিজ বিভাগে সেরা ডিগ্রীধারীদের আকৃষ্ট করতে এ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার।
যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক বলেন, এ ভিসার ফলে যুক্তরাজ্য উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা এবং উদ্যোক্তার আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে।