দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিনা খরচে পাইলট বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এয়ারলাইন্স কোম্পানি জানিয়েছে, মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাইলট বানানোর উদ্যোগের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে ইউএস-বাংলা গ্রুপ। যার ফলে বিনা খরচে কিছু শিক্ষার্থীকে পাইলট হওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
আবেদন যোগ্যতা- এসএসসি ও এইচএসসিতে (বিজ্ঞান বিভাগে) ন্যূনতম গ্রেড এ+ থাকতে হবে। এর মধ্যে ইংরেজি, পদার্থ, সাধারণ ও উচ্চতর গণিতে জিপিএ ৫ থাকতে হবে। এছাড়া ‘ও’ লেভেলে গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞানসহ ন্যূনতম ৫ বিষয়ে গ্রেড-এ এবং ‘এ’ লেভেলে গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞানে গ্রেড-বি প্রাপ্তরা আবেদনের যোগ্য হবেন।
চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও স্নাতক পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। আবেদনকারীদের ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশি হতে হবে এবং অন্য কোনো দেশের নাগরিক হতে পারবে না। আবেদনের সময় বয়স ১৭ থেকে ২৫ বছর হতে হবে। উচ্চতা মেয়েদের জন্য ন্যূনতম ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি ও ছেলেদের ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি হতে হবে। আবেদনকারীকে শারীরিকভাবে সুস্থ হতে হবে। দৃষ্টিশক্তি ৬/৬ হতে হবে। অধুমপায়ী ও নন-অ্যালকোহলিক হতে হবে। কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততা অযোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।
ক্যাডেট পাইলটদের নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে আইকিউ টেস্ট, লিখিত পরীক্ষা (ইংরেজী, গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞান), পাইলট যোগ্যতা পরীক্ষা, সাইকোমেট্রিক, মেডিকেল ও মৌখিক পরীক্ষা। সব টেস্টে উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে নির্বাচিতদের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনায় পৃথিবীর যেকোনো দেশে ফ্লাইট ট্রেনিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। নির্দিষ্ট মেয়াদি প্রশিক্ষণ সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্নের পর উত্তীর্ণ ক্যাডেট পাইলটরা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে ফার্স্ট অফিসার হিসেবে যোগদান করতে পারবেন।
ক্যাডেট পাইলট প্রোগ্রাম অনলাইনে আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ তারিখ আগামী ৩০ অক্টোবর। যেকোনো ধরনের তদবির প্রার্থীর অযোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।