সুনীল-সমরেশ কিংবা আঞ্জন দত্তের গানে গানে আমরা দার্জিলিংটা ভেবে ভেবে কিছুটা চিনি। চেনাটা আরও ভালো করে চিনতে যেতে হবে সবুজ পাহাড়ঘেঁষা দার্জিলিংয়ে, যেখানে মেঘ এসে মাটিতে হামাগুড়ি খায়।
দুইভাবে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যায়। কম খরচে যাঁরা যেতে চান, তাঁরা সড়কপথের আর যাঁদের খরচ নিয়ে ঝামেলা নেই, বরং সময় নিয়ে ঝামেলা, তাঁরা যেতে পারেন আকাশপথে। তবে যাওয়ার আগে কয়েকটা বিষয় ঠিক করে যেতে হবে। এর মধ্যে প্রধানটি হলো থাকার জায়গা আগে বুকিং দেওয়া। ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ রুপির মধ্যেই সেটা পেয়ে যাবেন, ওয়াইফাই, গরম পানিসহ। আরেকটা কথা, অন্তত সেখানে চার দিন থাকার মতো সময় নিয়ে যাবেন।
কোন দিন কী দেখবেন, সেটা স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বলে নিজেরা ঠিক করে নিতে পারবেন। তবে শুরু করতে পারেন টাইগার হিল দিয়ে। সূযের অদ্ভুত হাসি হিমালয়ের বরফ ছুঁয়ে আপনার মুখে খেলা করবে। সেখান থেকে বাতাসিয়া লুপ, রক গার্ডেন, ঘুম স্টেশন, চিড়িয়াখানা, টি গার্ডেন, মল রোড ঘুরতে থাকুন। দার্জিলিংয়ে বেশ কিছু মসজিদ রয়েছে, বড় দুটি মসজিদ অবশ্যই দেখার চেষ্টা করবেন।
কাঞ্চনজঙ্গা না দেখে ফিরে আসা একদম ঠিক হবে না। দার্জিলিং শহর থেকে খানিকটা দূরে। এক পাশে হিমালয় আর অন্য পাশে সবুজ ঘেরা কাঞ্চনজঙ্গাতে আপনি চাইলে প্যারাগøাইডিং করতে পারবেন। এরপর যেতে পারেন মিরিকে। অথবা সেখানে গিয়ে থাকতেও পারেন একটা দিন। সেখানেও থাকার কিংবা খাওয়ার খরচ খুব একটা বেশি নয়।
এবার তাহলে হয়ে যাক ঐতিহাসিক শিলিগুড়ি। এখানকার সংস্কৃতি, আবহাওয়া দার্জিলিংয়ের মতো। যেতে বেশ খানিক সময় লাগে, তাই সকাল সকাল উঠে রওনা দিতে হবে যে সেখানকার সীমান্ত সন্ধ্যা ছয়টার সময়েই বন্ধ হয়ে যায়। তাই যা-ই করুন, পরিকল্পনা করে করতে হবে। পুরো ভ্রমণে খাবার নিয়েও চিন্তা করবেন না। মোটামুটি সবকিছু পাবেন আপনার সাধ্যের নাগালে। তবে সাথে যদি প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র না নিয়ে যান, তাহলে টেনশনের বড় একটা কারণ হতে পারে।