বলা হয়, ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে রোমান্টিক এবং বৃহৎ শহরটি হলো হাভানা। এ শহরটিকে পর্যটকদের আনাগোনার জন্যে অনেক সুবিধাজনক করে তোলা হয়েছে।
এখানকার অপূর্ব সব স্থান আর বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি পর্যটকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে। সেই ফেলে আসা সময়ের সবকিছুই যেন এখনো জীবন্ত এখানে। ভিনটেজ গাড়ি আর খোয়া বিছানো রাস্তা আপনাকে পুরনো সময়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।
ক্রাইস্ট অব হাভানা হলো যীশুর বিশাল এক ভাস্কর্য। এটা কিউবার খ্যাতিমান ভাস্কর জিলমা মাদেরার হাতে গড়া হোয়াইট ক্যারেরা মর্মর পাথরের এক অনবদ্য শিল্পকর্ম। বিশ মিটার উঁচু এই মূর্তি হাভানার সৈকতটাকে যেন পর্যবেক্ষণ করে চলেছে। সৈকতের পাশাপাশি এই মূর্তিটিও উপভোগ্য হয়ে ওঠে।
হাভানা উপকূল দিয়ে প্রবেশপথে রয়েছে অসাধারণ মোরো ক্যাসেল। এর নান্দনিক স্থাপত্যশৈলী যেকোনো মানুষকে বিস্মিত করবে।
প্রাচীন সময়ের প্রতাপ ও বীরত্বগাথার কথা তুলে ধরছে এই দুর্গ। এর সদর দরজাটি বিশাল। হাভানার এক অন্যতম আকর্ষণ এই দুর্গ। কিউবার লাইটহাউজও বলা হয় একে।
হার্বারের পশ্চিমে রয়েছে ক্যাস্টিলো ডি লা রিয়েল ফুয়ের্জা। এটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে তালিকাভুক্ত হয়েছে। আমেরিকাসের মধ্যে এটি প্রাচীনতম পাথরের প্রাসাদ। প্রাথমিকভাবে জলদস্যুদের আক্রমণ থেকে হাভানাকে বাঁচাতে তৈরি হয়েছিল। স্থাপত্যকলায় এটি এক অনন্য সৃষ্টি। এই প্রাসাদ এক সত্যিকার বিস্ময়।
আরো আছে হাভানা ক্যাথেড্রাল। এটাও এক দারুণ স্থাপনা। পুরনো ভবনটি তুলে ধরছে বারোকি স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন।
এবার আসা যাক মিউজিয়াম অব রেভ্যুলেশন। এখানে সেই ১৯৫০-এর সময়কার বিপ্লবের ইতিহাস সংরক্ষিত রয়েছে। প্রয়াস ফিদেল ক্যাস্ট্রো তৎকালীন স্বৈরাচারী কিউবার প্রেসিডেন্ট বাতিস্তার বিরুদ্ধে বিপ্লব করেছিলেন। অসাধারণ এক স্থাপনা। কিউবায় গেলে কেউ এটা না দেখে ফেরে না। বিপ্লবের আগের অনেক ইতিহাসও সংরক্ষিত রয়েছে এখানে।