ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের পর মার্ক জাকারবার্গের নতুন অ্যাপ থ্রেডস প্রথম দিনেই বাজিমাত করেছে। মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই এই অ্যাপে সাইন-আপ করেছেন ৩ কোটির বেশি ব্যবহারকারী। তবে এসব ব্যবহারকারীর মধ্যে মিস্টার বিস্ট সবার চেয়ে আলাদা। কারণ এক দিনেই ১০ লাখের বেশি ফলোয়ার পেয়ে গেছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, নতুন ওই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ১০ লাখ ফলোয়ারের মাইলফলক ছুঁয়ে বিশ্ব রেকর্ডও গড়েছেন বিস্ট। এই মাধ্যমটিতে মাত্র তিনটি পোস্ট করেই ইনস্টাগ্রাম এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েকটি অ্যাকাউন্টকে পেছনে ফেলে বিশ্ব রেকর্ডের কৃতিত্ব গড়েছেন তিনি।
শুক্রবার মাশাব্লে-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থ্রেডস মাধ্যমটিতে প্রথম দিনেই ১০ লাখ ফলোয়ার পাওয়া মিস্টার বিস্ট হলেন একজন আমেরিকান ইউটিউবার। তাঁর আসল নাম জিমি ডোনাল্ডসন।
বেশ ব্যয়বহুল স্টান্ট এবং পরোপকারের ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করেন মিস্টার বিস্ট। এসব কনটেন্টে এমনও দেখা যায়, অপরিচিত কোনো ব্যক্তি, কোনো বন্ধু কিংবা কোনো দাতব্য সংস্থাকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার দান করে অবাক করে দিচ্ছেন তিনি। এসব কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ইউটিউবে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন বিস্ট। এই মাধ্যমটিতে বর্তমানে তাঁর ৮ কোটি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে।
তবে এই মুহূর্তে জাকারবার্গের থ্রেডস নিয়ে মেতেছেন বিস্ট। এই অ্যাপে যত দ্রুত সম্ভব ৩০ লাখ ফলোয়ার পাওয়ার আশা করছেন তিনি। বসে বসে তাই শুধু নতুন ফলোয়ারের সংখ্যা গুনছেন।
বিস্টের বিশ্ব রেকর্ডের খবর দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডও। বলা হয়েছে, প্রথম দিনই ১০ লাখ ফলোয়ার পেয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার খবর পেয়ে ফিরতি বার্তায় বিস্ট রিপ্লাই দিয়েছেন, ‘শুশশশ. . টুইটার পুলিশ যেন না জানে যে, আমি তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করছি।’
উল্লেখ্য, টুইটারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এর আদলে বৃহস্পতিবার ‘থ্রেডস’ নামে নতুন অ্যাপটি বাজারে ছাড়েন মেটার প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।
এসবই শেষ নয়, মিস্টার বিস্টের আরেকটি বড় আশাও রয়েছে। আর তা হলো—নতুন থ্রেডস মাধ্যমটির সিইও হতে চান তিনি। এই মাধ্যমে তাঁর তিনটি পোস্টের একটিতে অনুসারীদের জানিয়েছেন, যদি তাঁরা চান তবে মেটার বস মার্ক জাকারবার্গের উচিত তাঁকে নতুন অ্যাপটির সিইও করা।
মজার বিষয় হলো, থ্রেডস-এর বায়োতে বিস্ট লিখে রেখেছেন, ‘থ্রেডস-এর ভবিষ্যৎ সিইও।’