গিজার পিরামিড
মিশরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হচ্ছে গিজার পিরামিড আপনার মিশর ভ্রমণ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে যদি গিজার পিরামিড না দেখেন। প্রাচীন বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি এই পিরামিড। মিশরের রাজাদের সমাধিস্থল হচ্ছে এই পিরামিড। মিশরের ফারাও অর্থাৎ রাজাদের মৃতদেহ মমি করে রাখা আছে এই পিরামিডের মধ্যে। কায়রো শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে মরুভূমির মধ্যে নীলনদ বরাবর গিজার পিরামিড অবস্থিত। গিজাতে আছে তিনটি পিরামিড- খুফু, খাফ্রে ও মেংকাউরে পিরামিড। এই বৃহৎ পিরামিডের সামনে স্ফিংস নামক সেই বিখ্যাত মূর্তি আছে যার দেহটি সিংহের ও মাথাটি মানুষের। এটি এক অনন্য নিদর্শন।
নীলনদ
মিশরে বসবাসকারী মানুষদের কাছে নীল নদ এক রক্ষাকর্তা স্বরূপ। নীল নদ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী। নীল নদের বুকে বিস্ময়কর জাহাজ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পর্যটকদের কাছে দারুণ ব্যাপার। নীল নদে জাহাজ ভ্রমণের মাধ্যমেই আপনি ইতিহাসের মিশরীয় মন্দিরগুলো পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন। এই জাহাজ ভ্রমণে চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য ও বালিয়াড়ির সৌন্দর্য আপনাকে বিমোহিত করবে।
কারনাক ট্যাম্পেল
মিশরের অনেক আকর্ষণীয় মন্দিরগুলোর মধ্যে কারনাক মন্দির সবচেয়ে প্রাচীন। কারনাক মন্দিরটি প্রাচীন বৃহত্তম ধর্মীয় স্থাপনা। এটি মূলত একটি মন্দিরের শহর যা ২০০০ বছরেরও বেশি আগে নির্মিত হয়েছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় আশ্চর্যগুলোর একটি। কারনাক প্রায় ২০০ একর এলাকা নিয়ে বিস্তৃত। ৪০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এটি তীর্থযাত্রার স্থান ছিল। এখন এটি একটি অনন্য পর্যটনস্থল।
আবু সিম্বেল মন্দির
মিশরের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ আবু সিম্বেল মন্দির মিশরের দক্ষিণাঞ্চলে লেক নাসেরের পশ্চিম তীরে অবস্থিত। এটি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। এই মন্দির নূবিয়ান মনুমেন্ট নামেও পরিচিত। দুটি বিশাল আকৃতির পাথর কেটে এই মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। ১৩’শ শতকে এই জোড়া মন্দিরটি ফারাও রাজা রামেসেসের দ্যা গ্রেট নিজের ও তার স্ত্রী নেফারতারির সমাধির জন্য নির্মাণ করেছিলেন। এটি ইউনেস্কো দ্বারা বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান রূপে ঘোষিত হয়েছে। এই মন্দির দেখার জন্য প্রচুর পর্যটকদের সমাগম ঘটে এখানে।