শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৫ অপরাহ্ন

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে আবারও সিন্ডিকেটের পাঁয়তারা

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য এ শ্রমবাজারে আবারও সিন্ডিকেট করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে, দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মহল থেকে। আর এ সিন্ডিকেট এড়াতে বিদ্যমান শ্রম চুক্তির কয়েকটি ধারা সংশোধন করার পরামর্শ দিয়েছেন দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা কর্মী অ্যান্ডি হল। সম্প্রতি অ্যান্ডি হল বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ২০২১ সালের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) আমূল পরিবর্তন করা দরকার এবং নেপালের সঙ্গে এখন মেয়াদোত্তীর্ণ সমঝোতা স্মারকটির আপডেট করা দরকার। তার মতে, চুক্তির কয়েকটি ধারা অপসারণ করা দরকার, এই ধারাগুলো সিন্ডিকেটের হাতে নিয়ন্ত্রণ দেয়, কারা কর্মী পাঠাতে পারবে তা সীমাবদ্ধ করে, অভিবাসন ব্যয় বাড়িয়ে তোলে এবং আইনের শাসনকে ক্ষুণ্ন করে।

হল বলেন, নেপালের সঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ সমঝোতা স্মারক এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রুটিপূর্ণ সমঝোতা স্মারক সতর্কতার সঙ্গে সংশোধন করে সমস্যাযুক্ত ধারাগুলো দূর করতে হবে, যাতে অভিবাসী শ্রমিক নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাকে কথিত সিন্ডিকেট থেকে চিরতরে মুক্তি দেওয়া যায়। দায়িত্বজ্ঞানহীন, অনিয়মিত ও অনৈতিক নিয়োগ এবং এ ধরনের আচরণের জন্য অসদাচরণ, ঋণের দাসত্ব ও অন্যান্য নির্যাতনের ফলে অনেক শ্রমিকের জীবনকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

বিশেষ করে ফরেন ওয়ার্কার সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এফডাব্লুসিএমএস)-এর চুক্তি অব্যাহত রাখার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন তিনি। সমালোচকরা বলছেন, মালয়েশিয়ার নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ হতে পারে তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সিন্ডিকেশন প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এর মাধ্যমেই অতিরিক্ত ব্যয় নির্ধারণ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া এবং নেপালের অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা এখনও অন্যান্য উৎস দেশগুলোর পাশাপাশি আপডেট হওয়া এফসিডাব্লুএমএস ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে না। এর ফলে অভিযোগ উঠেছে, সিন্ডিকেটের শর্ত মেনে নেওয়ার জন্য চলমান আলোচনা এই দেশগুলোর জন্য অংশগ্রহণকারীদের তালিকাভুক্ত করতে বিলম্ব করেছে।

হল বলেন, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও নেপাল সরকারকে অবশ্যই সিন্ডিকেশনের যে কোনও সুযোগ অপসারণ করতে এবং শ্রমবাজার পুনরায় খোলার আগে আরও দায়িত্বশীল নিয়োগ অনুশীলনের সম্ভাবনা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক পুনর্বিবেচনা করতে দ্রুত কাজ করতে হবে।

দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের জন্য বন্ধ হয়ে যায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। সেই সময় ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী পাঠানো যেতো। এরপর ২০২১ সালের ১৮ ডিসেম্বরে নতুন সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে সেই বাজার খুলতে সময় লেগেছিল ৩ বছর। ২০২২ সালের আগস্টে দেশটিতে আবারও বাংলাদেশি কর্মী যাওয়া শুরু হয়। তখন প্রথমে ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে অনুমোদন দেওয়া হলেও পরে তা বাড়িয়ে ১০১টি করা হয়। ২০২৪ সালের ৩১ মে থেকে আবারও কর্মী নেওয়া বন্ধ করে মালয়েশিয়া। আগের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে আবার চুক্তি করতে হবে।

চার বছর পর ২০২২ সালে দেশটির শ্রমবাজার খোলার পর ওই বছর গিয়েছিলেন ৫০ হাজার ৯০ জন। ২০২৩ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জনে। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে দেশটিতে যান ৯৩ হাজার ৬৩২ জন। আর চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় গেছেন ১ হাজার ৫৮৭ জন।

জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) একাধিক সদস্যের অভিযোগ, রাঘববোয়ালদের চক্রের কারণে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশি কর্মীরা নানা সমস্যায় পড়ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বায়রার এক সদস্য বলেন, শ্রমিকদের বিদেশ যেতে সরকার ৮০ হাজার টাকা ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু সিন্ডিকেটের কারণে জনপ্রতি সাড়ে ৫ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। যেখানে ৫০ জনের কাজের জায়গা রয়েছে, সেখানে ৫০০ লোক নিয়েছে। ফলে সেখানে গিয়ে শ্রমিকেরা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা লুটে নেওয়ার তথ্য এসেছে ‘একটি উন্নয়ন বয়ানের ব্যবচ্ছেদ’ নামের শ্বেতপত্রে। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি গত বছর দেশের অর্থনীতি নিয়ে যে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে, সেখানে এটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কর্মী পাঠিয়ে ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সির চক্র দেড় বছরেই হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা। প্রায় পৌনে ৫ লাখ কর্মীর কাছ থেকে অতিরিক্ত এই অর্থ নিয়ে নিজেদের পকেটে ভরেছে চক্রটি। চাহিদার বেশি কর্মী পাঠানোর অভিযোগও রয়েছে।

এই চক্রের সঙ্গে জড়িত হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের চার সংসদ সদস্যের নামও এসেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইতোমধ্যে সাবেক চার এমপির বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তাঁরা হলেন সাবেক মন্ত্রী ও এমপি আ হ ম মুস্তফা কামাল, নিজাম উদ্দিন হাজারি, বেনজির আহমেদ এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। প্রথম তিনজন আওয়ামী লীগের এবং মাসুদ উদ্দিন জাতীয় পার্টির এমপি ছিলেন।

এদিকে, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেটে জড়িতদের ‘কালো তালিকা’ করার ঘোষণাও দিয়েছিল সে দেশের সকার। সরকারি কর্মকর্তা, এজেন্ট এবং যেসব কোম্পানির মালিক এসব অবৈধ কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নিতেও উদ্যোগ নেয় মালয়েশিয়া।

২০২৪ সালের ১৯ নভেম্বর, কুয়ালালামপুরে অভিবাসী শ্রমিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১২তম যৌথ কমিটির বৈঠক শেষে মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম এ কথা বলেন।

সেসময় মালয়েশিয়া কিনির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কিছু কোম্পানির মালিক প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও অভিবাসী শ্রমিকের জন্য কোটা সংগ্রহ করে কয়েক মিলিয়ন রিঙ্গিত উপার্জন করেছে। আর এসব সিন্ডিকেটে সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত’। যদি কারো কাছে সিন্ডিকেট পরিচালনার তথ্য থাকে, তবে মন্ত্রণালয়ে জানানোর জন্যও সে সময় মানবসম্পদমন্ত্রী বলেছেন। তথ্য প্রমাণিত হলে, সেই কোম্পানির মালিক এবং ঘটনায় জড়িতদের স্থায়ীভাবে কালো তালিকা করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এসব ঘটনায় শুধু সরকারি কর্মকর্তা এবং এজেন্ট নয়, কোম্পানির মালিকরাও জড়িত’। আমরা সবাইকে সতর্ক করছি, এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হতে হবে। অভিবাসী শ্রমিক ব্যবস্থাপনায় সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সরকার এ বিষয়ে আরও কঠোর হবে।

মালয়েশিয়া কিনির তথ্যমতে, ১৯৯৬ সাল থেকে এই সিন্ডিকেটটি সক্রিয় রয়েছে এবং আংশিক কিছু আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তার যোগসাজশের কারণে এটি দমন করা সম্ভব হয়নি।

‘সিন্ডিকেটটির উদ্দেশ্য কোটা বিক্রি এবং শ্রমিকদের অস্থায়ী কর্মসংস্থান, ভিজিট পাস (পিএলকেএস) রিনিউ করে প্রতি বছর অবৈধভাবে লাখ লাখ রিঙ্গিত আয় করে।’

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা) সাবেক যুগ্ম সচিব ফখরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেছেন, ‘সাবেক সরকারের আমলে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট হয়েছিল।

প্রথমে ১০ জন, তারপর ২৫ জন এবং পরে ১০০ জনের সিন্ডিকেট করা হয়। এই সিন্ডিকেট চক্র বাংলাদেশ থেকে যতগুলো কর্মী গেছেন প্রত্যেকের কাছ থেকে ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছে। এই সিন্ডিকেটের একটা পদ্ধতি ছিল অনলাইন সিস্টেম।

যেখানে প্রত্যেক কর্মীর কাছ থেকে ৫ হাজার রিঙ্গিত সমপরিমাণ টাকা নিয়েছে। এভাবে তারা ১২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এই সিন্ডিকেট ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ফের মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট করার জন্য পাঁয়তারা করছে।

তিনি আরো বলেছেন, সাবেক সরকারের এমপি, মন্ত্রী, নেতা ও বায়রার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

এই সরকারের উচিত, নতুন করে সিন্ডিকেট করতে চাইলে তা ভেঙে দেওয়া। একই সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে এজেন্সিগুলোকে শ্রমিক পাঠানোর ব্যবস্থা করা।

অভিবাসন খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নানা সিন্ডিকেট ও দালালদের কারণে বিশ্ব শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সিন্ডিকেটের কারণে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার তো এখন বন্ধই। তাই বিদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ ও দালালমুক্ত হওয়া প্রয়োজন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রবাসীদের অধিকার আদায়ে নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। তবে মূল সমস্যা রয়েই গেছে। তাই সবার আগে প্রয়োজন এই খাত দালালমুক্ত করা।’

এদিকে ভোগান্তি কমাতে নানা উদ্যোগ নেওয়ার পরও সরকারিভাবে খুব বেশি মানুষ বিদেশে যাচ্ছেন না। সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গেছেন মাত্র ৩.০৪ শতাংশ মানুষ। আর দালালের বাইরে বেসরকারি কোম্পানি বা এজেন্সিগুলোকে টাকা দিয়ে বিদেশে গেছে ৪২.০৯ শতাংশ। অন্যান্যভাবে বিদেশ গেছে ২.৮০ শতাংশ।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিবাসনের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় সমস্যা। শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগী বা দালালদের সম্পৃক্ততা দরিদ্র কর্মীদের খরচ বাড়িয়ে দেয়।

বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, ৫৮.২৪ শতাংশ মানুষ বিদেশ যেতে ঋণের ওপর নির্ভর করেন। শহরের ৫১.৮৩ শতাংশ ও গ্রামের ৬০.০৭ শতাংশ মানুষ ঋণ নিয়েছেন। নারীদের (৩৭.৯৮ শতাংশ) তুলনায় পুরুষরা (৫৮.৭৪ শতাংশ) বেশি ঋণ নেন।

এদিকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পাশাপাশি স্থায়ীভাবে ফেরতও আসছেন অনেকে। মালয়েশিয়া থেকে ১৩.১৫ শতাংশ দেশে ফেরত এসেছেন বলে বিবিএসের তথ্যে জানা গেছে।

মালয়েশিয়া সরকারের সকল শর্ত মেনে নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে যে-কোনো মূল্যে শ্রমবাজার খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। অন্য ১৩টি দেশ মালয়েশিয়া সরকারের শর্ত মেনে নিয়ে তাদের শ্রমবাজার চালু রাখলেও বাংলাদেশে এ ক্ষেত্রে অনেকখানি পিছিয়ে আছে। ফলে ১২ লাখ কর্মীর যে চাহিদা মালয়েশিয়ার রয়েছে, সেই বাজার বাংলাদেশের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ হারাতে বসেছে ৫ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স।

মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের বন্ধ শ্রমবাজার খুলে দেয়ার দাবিতে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের পর জনশক্তি রপ্তানি ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সাধারণ সদস্যদের পক্ষ থেকে ইস্কাটন গার্ডেনে প্রবাসী কল্যাণ ভবন প্রাঙ্গণে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্মারকলিপিতে বায়রার সাধারণ সদস্যদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘অভিবাসী শ্রমিকদের স্বার্থ প্রাধান্য দিয়ে স্বল্প ব্যয়ে নিরাপদ অভিবাসনের লক্ষ্যে মালয়েশিয়াসহ সকল বন্ধ শ্রমবাজার খোলার ব্যবস্থা করা হোক। দেশ ও কর্মীদের সার্বিক স্বার্থে সরকার যে পদ্ধতিতে শ্রমবাজার উন্মুক্ত করবে, বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক হিসেবে সেটা যথাযথভাবে অনুসরণ করে কর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতি দেন ব্যবসায়ীরা।

মানববন্ধন স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, আল সুপ্ত ওভারসীসের স্বত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ মজুমদার, পূরবী ইন্টারন্যাশনালের মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, আর্থ স্মার্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, ইএমএস ইন্টারন্যাশনালের এএমএস সাগর, তাসনিম ওভারসীসের মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ভুঁইয়া, আল আকাবা এসোসিয়েটের মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিশ্বাস, আল গিফারীর সাগর মাহমুদ, স্কাইল্যান্ড রিক্রুটিংয়ের মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, আরমান এয়ার ইন্টারন্যাশনালের এডভোকেট মোহাম্মদ সাজ্জাম হোসেন, ফ্রিডম ওভারসীসের কফিল উদ্দিন মজুমদার, এসএফ গ্লোবালের হাওলাদার ফোরকান উদ্দিন ও দুবাই প্রবাসী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com