আবারো রেকর্ড সংখ্যক কর্মী গেল বাংলাদেশের জন্য অন্যতম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায়। গেল কয়েক বছর সর্বাধিক সংখ্যক কর্মী যেত সৌদি আরবে। সেই রেকর্ড ভেঙে পরপর দুই মাস সেখানে স্থান করে নিয়েছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার।
চলতি বছরের মে মাসে প্রথমবারের মত সৌদিকে টপকে যায় মালয়েশিয়া। সে মাসে সৌদিতে ২৯ হাজার ৬৬৭ কর্মী গেলেও এগিয়ে থাকা মালয়েশিয়ায় যায় ৩৫ হাজার ১৯০ কর্মী। আর এই ধারা অব্যাহত থাকে তার পরের মাসেও। গেল জুন মাসে সৌদিতে যায় ৩৯ হাজার ২৩১ জন। অপরদিকে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান ৪১ হাজার ৪৩৮ কর্মী। এই হিসেবে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৪’শ কর্মী যাচ্ছে দেশটিতে। মালজনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষন ব্যুরো বা বিএমইটির বৈদেশিক কর্মসংস্থান সম্পর্কিত সবশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায় এই চিত্র।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালের ৮ আগস্ট বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার পুনরায় উন্মুক্ত হওয়ার পর এই প্রথম এক মাসে এতো বেশি সংখ্যক কর্মী গেছে দেশটিতে।
মালয়েশিয়ায় শুরুতে কর্মী যাওয়ার গতি কিছুটা কম থাকলেও চলতি বছরের প্রথম থেকেই পুরোদমে কর্মী যাচ্ছে দেশটিতে। এরমধ্যে জানুয়ারিতে গেছে ২৪ হাজার ৯৯৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২৯ হাজার ৩২০, মার্চে ২৮ হাজার ৫৭৯, এপ্রিলে ১৮ হাজার ৫৬৫ আর মে মাসে যায় ৩৫ হাজার ১৯০ কর্মী। সবমিলে গেল ৬ মাসে দেশটিতে পাড়ি দিয়েছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৬ কর্মী।
এছাড়াও ২০২২ সালের ৮ আগস্ট প্রথম ফ্লাইট থেকে শুরু করে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়া যায় আরো ৪৯ হাজার ৯৬১ কর্মী। এরমধ্যে আগস্টে গেছে ৫৭৩ জন, সেপ্টেম্বরে ৪ হাজার ৬৫৯, অক্টোবরে ১০ হাজার ৪১০, নভেম্বরে ১৩ হাজার ৬২৮, ডিসেম্বরে ২০ হাজার ৬৯১ কর্মী। অর্থাৎ বিএমইটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখন পর্যন্ত দেশটিতে পৌঁছেছে সবমিলে ২ লাখ ২৮ হাজার ৪৭ কর্মী।
এদিকে গেল ৭ জুলাই মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এক বার্তায় জানিয়েছে, চলতি বছরের ৬ জুলাই পর্যন্ত ৪ লাখ ২৩ হাজার ৫৬৯ কর্মীর চাহিদাপত্র সত্যায়ন করা হয়েছে। বিএমইটির পরিসংখ্যান বলছে দেশটিতে যাওয়ার প্রক্রিয়াধীন কিংবা অপেক্ষায় আছে আরো ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫২২ কর্মী।
এই খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সকল প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকলে ধারবাহিকভাবে বাকিদেরও শিগগিরই দেশটিতে পাঠানো সম্ভব।
Like this:
Like Loading...