মালয়েশিয়ার সারাওয়াকে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিয়েছে দেশটির রাজ্য সরকার। দেশটিতে চলমান রিক্যালিব্রেশনের (আরটিকে ২.০) অধীনে থ্রিডি সেক্টরে কোম্পানি মালিকরা অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ করতে পারবেন।
আজ বৃহস্পতিবার সারাওয়াক প্রিমিয়ার ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি মিনিস্টার (শ্রম, অভিবাসন এবং প্রজেক্ট মনিটরিং) দাতুক গেরাওয়াত গালা বলেন, গতকাল থেকে শুরু হয়েছে অবৈধ অভিবাসীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া। রিক্যালিব্রেশন (আরটিকে ২.০) এই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে।
থ্রী ডি সেক্টরে উৎপাদন, নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ, কৃষি, সেবা, খনি ও খনন এবং বিদেশি গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগকর্তারা নিবন্ধন করে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ দিতে পারবেন।
এই কর্মসূচির অধীনে কেবল ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, ভারত, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়া, লাওস, নেপাল, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান এবং চীন- এ ১৬ টি দেশের অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আরও তথ্য ইমিগ্রেশন বিভাগের পোর্টালে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের ডেপুটি মিনিস্টার।
দ্বীপরাজ্য সারওয়াকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে চলছে কূটনৈতিক দৌড়ঝাঁপ। চলতি মাসের ১২ জুলাই রাজ্যের প্রিমিয়ার (রাজ্য সরকার প্রধান) দাতুক পাটিঙ্গি তান শ্রী আবাং জোহারি তুন ওপেংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার।
সারাওয়াক রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক সদর দপ্তরে বৈঠক হয়। বৈঠকে দক্ষ কর্মী নিয়োগে রাজ্য সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে।
সারাওয়াক রাজ্যকে সহযোগিতা করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে এবং এক্ষেত্রে হাইকমিশন তথা বাংলাদেশ সরকারের পূর্ণ সহযোগিতার বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হবে বলে জানান হাইকমিশনার।
বাংলাদেশ থেকে পেশাভিত্তিক দক্ষ মানবসম্পদ নিয়োগ, অবৈধ বাংলাদেশিদের বৈধতার সুযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্প্রসারণসহ অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক সব বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সারাওয়াক রাজ্যের সরকারপ্রধান তার দপ্তরের কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ দেন।