মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতার নতুন কোনো কর্মসূচী নেয়নি দেশটির অভিবাসন বিভাগ। শুধু মাত্র ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা অবৈধ ভাবে বসবাস করছিলেন, তাদের জন্য সরকার চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ করতে রিক্যালিব্রেশন (আরটিকে) ২.০ প্রোগ্রাম চালু করে। যা এই বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২-এর পর থেকে অবৈধ স্ট্যাটাস সহ বিদেশিদের রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম (আরটিকে) ২.০ এর অধীনে কখনই বিশেষ অনুমোদন জারি করেনি। এই ধরনের অনুমোদন সরকার কর্তৃক নির্ধারিত নীতি লঙ্ঘন করেছে যখন এটি এই বছরের ২৭ জানুয়ারী আরটিকে ২.০ প্রোগ্রাম চালু করেছিল।”
“নীতিটি স্পষ্ট, শুধুমাত্র বিদেশী নাগরিক যারা ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত অবৈধ ছিল এবং তারা আরটিকে ২.০ অনুমোদনের জন্য যোগ্য এবং বিবেচিত হবে। এ নিয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি বা অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে এমন ভুল তথ্য না ছড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন দাতুক রুসলিন জুসোহ।
এ বিষয়ে একটি ভাইরাল হোয়াটসঅ্যাপ ভয়েস নোট বার্তা অনুসরণ করে দাবি করেছে, ইমিগ্রেশন বিভাগ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ এর পরে অবৈধ অবস্থান সহ বিদেশীদের জন্য একটি আরটিকে ২.০ বিশেষ অনুমোদন জারি করছে ইমিগ্রেশন। ভয়েস নোটে আরও দাবি করা হয়েছে, ২০২৩ সালে দেশে প্রবেশ করা মাত্র ৫ হাজার আবেদনকারীদের বিশেষ অনুমোদন দেওয়া হবে।
ইমিগ্রেশন বিভাগ দৃঢ়ভাবে এই দাবি অস্বীকার করছে এবং জনসাধারণকে এজেন্ট ও মধ্যস্বত্বভোগীদের এই কৌশলে প্রতারিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ।