মালদ্বীপের ছয়টি অঞ্চলে যে ছয়টি বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তা বর্তমান প্রেসিডেন্টের মেয়াদে শেষ হবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির পরিকল্পনামন্ত্রী ।
বুধবার দেশটির জাতীয় সংসদে সদস্য আবদুল্লাহ শাহীমের বিমানবন্দর প্রকল্পের কাজ শুরুর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী মোহাম্মদ আসলাম এ কথা বলেন।
মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহর নেতৃত্বে সরকার ১৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ৬ টি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। জাতীয় পরিকল্পনা, আবাসন এবং অবকাঠামো মন্ত্রণালয় ‘ক্রস-ভর্তুকি’ মডেলের অধীনে বিমানবন্দরগুলির উন্নয়নের জন্য গত বছর আর্থিক সহায়তা চাওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করে।
বিমানবন্দরগুলো নির্মিত হবে, হা ধালু অ্যাটলের মাকুনুধু, শাভিয়ানি অ্যাটলের বিলেহফাহি, বাআ অ্যাটলের থুলহাধু, থাআ অ্যাটলের ভিলিফুশি, ফাফু অ্যাটলের মাগুডু এবং রাআ অ্যাটলের দক্ষিণ দিকের একটি দ্বীপে ।
বুধবার সংসদে বক্তৃতায় মন্ত্রী আসলাম বলেন, শাভিয়ানি অ্যাটলের বিলেহফাহির জন্য ১,২০০ মিটার রানওয়েসহ একটি বিমানবন্দর ডিজাইন করা হয়েছে। বিমানবন্দর প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জমি ড্রেজিং এবং সুরক্ষিত করা হবে এবং এই প্রকল্পে ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য ১২টি প্রস্তাব এসেছে। তবে কোম্পানিগুলো কোন দেশে নিবন্ধিত হয়েছে তা প্রকাশ করেননি তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য তহবিলের প্রাপ্যতা প্রমাণ করতে পারে এমন কোম্পানিগুলির সাথে এমওইউ স্বাক্ষরের প্রচেষ্টা চলছে। একটি খসড়া চুক্তি তৈরি করে পরামর্শের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। সংস্থাগুলি যদি তহবিলের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয় তবে অন্যান্য সংস্থাগুলির সাথে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
“আমি নিশ্চিত [বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদের] অবশিষ্ট সময়ে [ছয়টি বিমানবন্দর] শেষ করা যাবে না। তবে, কাজ শুরু হলে, এটি এগিয়ে যাবে,” আসলাম বলেন।
এই অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলির বিকাশের সাথে, মালদ্বীপের দূরের অ্যাটল বা প্রবালপ্রাচীরগুলিতে অ্যাক্সেসযোগ্যতা বাড়াবে এবং পর্যটনকে উত্সাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বেশ কয়েকটি রিসর্ট অ্যাক্সেসযোগ্যতার অসুবিধার সম্মুখীন হওয়ায়, নতুন অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর সংযোজন রিসর্টগুলিকে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং সহায়তা পরিষেবাগুলির সাথে মালে’ থেকে দূরে প্রবাল-প্রাচীরগুলিতে উন্নতি করতে সক্ষম করবে৷
এ ছাড়া বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্পে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসী শ্রমিকদের কাজের সুযোগ হবে।