যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ, উচ্চশিক্ষা বা কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ভিসা পেতে আগ্রহীদের জন্য আসছে বাড়তি আর্থিক চাপ।
২০২৬ সাল থেকে মার্কিন সরকার নতুন করে একটি ‘ইন্টিগ্রিটি ফি’ আরোপ করতে চলেছে, যার ফলে ভিসা আবেদনের মোট খরচ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত ৪ জুলাই ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন’ স্বাক্ষর করেছেন, যার আওতায় ২০২৬ সাল থেকে আমেরিকায় ভ্রমণ, পড়াশোনা বা কাজের উদ্দেশ্যে ভিসা আবেদনকারীদের অতিরিক্ত ২৫০ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০ হাজার ৪১৯ টাকা) পরিশোধ করতে হবে ‘ইন্টিগ্রিটি ফি’ হিসেবে।
এই নতুন ফি চালুর ফলে, যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ, শিক্ষাগ্রহণ বা কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন, তাঁদের মোট ভিসা খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। এটি নন-রিফান্ডেবল। অর্থাৎ ভিসা না পেলেও বা পরে বাতিল হলেও টাকা ফেরত মিলবে না। ভিসা ইস্যুর সময়ই এই ফি জমা দিতে হবে। প্রতি বছর মুদ্রাস্ফীতি (সিপিআই অনুযায়ী) হিসাব করে এই ফি বাড়তে বা কমতে পারে। মূল ভিসা ফি ছাড়াও এই বাড়তি ফি দিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, নতুন এই ফি আরোপের উদ্দেশ্য হল ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা আরও জোরদার করা। যদিও সমালোচকরা বলছেন, এতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর আবেদনকারীদের ওপর আর্থিক চাপ আরও বাড়বে।
এই ফি পরিচালনা করবে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ( DHS )। প্রতি বছর মার্কিন বাজারে মূল্যবৃদ্ধি (CPI) অনুসারে এই ফি বাড়ানো বা কমানোর অধিকারও থাকবে ডিএইচএস-এর হাতে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন এই নিয়ম শিক্ষা ও পর্যটনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে কিছুটা কম আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে, বিশেষ করে যাঁরা সীমিত বাজেট নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ বা উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনা করেন।