কত দ্বীপেই তো ঘুরেছি আমরা। দেশ-বিদেশের নানা দ্বীপের নামও জানি। তবে বিচিত্রপুর দ্বীপের নাম শুনেছেন কখনো? যে দ্বীপ মাত্র ৬ ঘণ্টা জেগে থাকে। দ্বীপটি বেশি দূরে নয়। ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের দিঘা অঞ্চলে অবস্থিত দ্বীপটি। সময়-সুযোগ হলে ঘুরে আসুন তাহলে।
অদ্ভুত জ্যামিতিক নকশায় দাঁড়িয়ে আছে দ্বীপটি। সেখানে পা ফেলার সঙ্গে সঙ্গেই কানে আসবে পাখিদের কিচিরমিচির। তবে জোয়ারের সময় যেতে পারবেন না। দ্বীপের আসল রহস্য এটিই। কারণ দিনে মাত্র ৬ ঘণ্টা জেগে থাকে দ্বীপটি। তাই এর প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণও বেশি।
দ্বীপটিতে পা দেওয়ার পর পর্যটকদের ফেলে দেওয়া প্যাকেট, বোতল কিছুই চোখে পড়বে না। মনে হবে আপনিই বুঝি প্রথম পা রাখলেন। এই দ্বীপে কিন্তু মদ্যপান নিষিদ্ধ! হাতে যতটুকু সময় পাবেন, দ্বীপটি ঘুরে দেখবেন। দ্বীপটির একেক জায়গায় একেক সৌন্দর্য। এখানে এসে সময় নষ্ট করা যাবে না। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। নির্দিষ্ট সময়ে আপনাকে নিতে বোট চলে আসবে।
ফিরতে ফিরতে এশিয়ার সবচেয়ে বড় সূর্ষমুখী ফুলের চাষের সন্ধানও পাবেন এখানে। তাই দু’চার দিনের ছুটি পেলেই চলে যেতে পারেন সেখানে। কারণ দিঘা তো সবাই যায়। আর দিঘা থেকে একটু ভিন্ন পথে বিচিত্রপুর চলে যাওয়া যায়। বিচিত্রপুর তো দিঘার কাছাকাছি এলাকা।
আবার সেটা তালসারির গা ঘেঁষা শহরও। তাই ছুটিতে বিচিত্রপুর এক আদর্শ জায়গা। ফলে প্রথমে উদয়পুর পার হয়ে চন্দনেশ্বর মন্দিরের পাশ দিয়ে সোজা নেমে যান তালসারি। চারিদিকে চোখ বোলালে দেখতে পাবেন বেশ কয়েকটি রিসোর্ট। সেখানে থাকতে চাইলে আগেই বুকিং করতে হবে। নাহলে হয়তো রাস্তাতেই দিন কাটাতে হতে পারে। আর ঘর পেলেও ভাড়া হবে ৩ হাজার টাকা থেকেও বেশি।
তালসারি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বিচিত্রপুর। একেবারে গ্রামের পথ। রাস্তা দিয়ে গেলে দেখতে পাবেন তরমুজ খেত। কিছুটা আঁকাবাঁকা পথ পেরোলেই ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। এখান থেকেই শুরু বিচিত্রপুরের রহস্য। এই ম্যানগ্রোভ ফরেস্টে পাবেন উড়িষ্যা বন বিভাগের একটি টিকিট কাউন্টার। টিকিট কেটে উঠে পড়ুন বোটে।
আট সিটের ফাইবার স্পিড বোটে প্রতি ট্রিপ ১২০০ টাকা। এই স্পিড বোট আপনাকে নিয়ে যাবে মোহনার কাছাকাছি। যেটা সুবর্ণরেখা সাগরে মিলেছে। এখানেই স্পিট বোট নামিয়ে দেবে বিচিত্রপুর দ্বীপে।