নিউইয়র্ক সিটি থেকে মাত্র দুই ঘন্টার ড্রাইভ। জায়গাটির নাম পোকোনো। উঁচু পাহাড় কখনো আকাশকে আড়াল করেছে, কখনো নিচে নেমে আকাশকে উঁচুতে তুলেছে। চারদিকে শুধু গাছ, শুধু সবুজ। ঘাসও সবুজ, গাছও সবুজ। কোথাও কোথাও গাছগুলো এত কাছাকাছি যেন জমাট বেঁধে আছে। ভিতরে গাঢ় অন্ধকার। কোথাও বা পাহাড়ের বা গাছের ছায়া পড়েছে লেকের জলে। এমন এক মন জুড়ানো প্রাকৃতিক পরিবেশে রনি শেখ গড়ে তুলেছেন ২২ একর জমির ওপর র্যাঞ্চ। নাম দিয়েছেন ফার্মভিউ র্যাঞ্চ বেড এন্ড ব্রেকফাস্ট। সেই র্যাঞ্চে দিব্যি ঘুরে ফিরে বেড়িয়ে কয়েকটা দিন কাটিয়ে দেয়া যায়।
কারণ যারা মাছ ধরতে চান, মাছ ধরতে পারবেন, কেউ হেঁটে হেঁটে চলে যেতে পারেন জংগলের ভেতরে। সেখানে উন্মুক্ত প্রান্তরে চড়ে বেড়াচ্ছে মুরগি, গরু, ছাগল, লেকের জলে হাঁস। যে কেউ সেখানে গরু ছাগল বা হাঁস মুরগি ধরে জবাই করে রান্না করে খেতে পারেন। কেজ ফ্রি এইসব হাঁস মুরগির অর্গানিক ডিমও রয়েছে। রয়েছে রান্নার ব্যবস্থা।
এখানে পিকনিকও করার ব্যবস্থা আছে। ব্যবস্থা আছে জন্মদিন, বিয়ে, গেট টুগেদার করার মনোরম পরিবেশ, শেড।
শুধু ফার্ম ভিউ র্যাঞ্চেই নয়, সেখানে গেলে কাছাকাছি ঘুরে আসা যাবে হার্শি পার্ক, ডাউনি পার্ক, ক্যামেল ব্যাক ওয়াটার পার্ক। কাছেই আছে ক্যাসিনো, জিমথ্রপ হিস্টোরিক্যাল টাউন। আছে পাহাড়ের ওপর দিয়ে ট্রেনে চড়ে বেড়ানোর সুবিধা। ইচ্ছা হলে কেউ র্যাফটিং করতে পারেন, ডিঙ্গি নৌকায় দাড় বাইতে পারেন লেকে।
শেখ রনি রুচিশীল মানুষ। তাই ফার্মভিউ র্যাঞ্চকে সাজিয়েছেন রুচিসম্মতভাবে। আর মনেপ্রাণে যেহেতু বাঙালি, তাই সেখানে গেলে বাংলাদেশের গ্রামের স্বাদও পাওয়া যেতে পারে।
শেখ রনি জানান, সেখানে রাত্রি যাপনের জন্য থাকার ব্যবস্থাও আছে। তিনি বলেন, যে কেউ সপরিবারে যেতে পারে সেখানে, কিংবা গ্রæপেও অর্থাৎ কয়েকটি পরিবার মিলে। এর জন্য গ্রæপ প্যাকেজও পাওয়া যায়।
যারা বিস্তারিত জানতে চান, ফোন করতে পারেন ৩৪৭-২৪৫-৪৭৪৭ বা ৫১৬-৪১৯-৮০৩৬ নম্বরে।