রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন

মহাজাগতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ দ্বীপ সুকাত্রা

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

গাছগুলো এক একটা বিশাল ব্যাঙের ছাতার মত। প্রাণীগুলো দেখতে বেশ অদ্ভুত। এখানে বৃক্ষরাজি বা লতাপাতা দেখতে যেরকম সেটির সাথে পৃথিবীর অন্য কোন অঞ্চলের উদ্ভিদের সাথে বা পরিবেশের সাথে মিল নেই। দেখে মনে হয় এজন্য অন্য এক গ্রহ বা অন্য এক জগত।

আপনার কাছে মনে হবে এখানে হয়তো কোন এলিয়েন থাকে। এ অঞ্চলের নাম সুকাত্রা। ইয়েমানের অদূরে আরব সাগরের তীরে জেগে ওঠা দীপ সুকাত্রা। অনেক আগে আরব নাবিকরা এখানে থাকতো। ওই সময় সারা বিশ্বে সুকাত্রা থেকে জাহাজ বিভিন্ন অঞ্চলে যেত এবং সুগার সরবরাহ করতো।

এখানে ব্যাঙের ছাতার মতো যে গাছ রয়েছে তার মধ্যে রক্তের মতো আঠালো জাতীয় পদার্থ রয়েছে। এটি মলম বা ঔষধি অথবা লিপস্টিক তৈরির উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এসব গাছ ৩২ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। সুকাত্রায় অনেক রঙ্গিন জাতীয় ফুলের দেখা মিলে।

শুধু বৃক্ষ নয় বরং প্রাণী-বৈচিত্রে সুকাত্রা অনন্য। অদ্ভুত পাখি, পা বিহীন টিকটিকি, সরীসৃপের এরকম প্রজাতির প্রাণী এখানে রয়েছে যা পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায় না। সুকাত্রার 31 প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে 29 টি স্থানীয়। অর্থাৎ শুধু এরা এখানেই থাকবে বরং পৃথিবীর অন্য কোথাও এদের পাওয়া যাবে না।

এখানে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বাস করে। মাছ ধরা, খেজুর চাষ করা, প্রাণী আহরণের মাধ্যমে তারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। তাদের নিজস্ব ভাষা এবং সংস্কৃতি রয়েছে যা বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে। বিমানবন্দর হওয়ার পূর্বে জাহাজ ছিল সুকাত্রা অঞ্চলে যাওয়ার একমাত্র উপায়।

পর্যটকদের জন্য এখানে কিছু গেস্ট হাউস থাকলে উন্নত মানের হোটেল নেই। গণপরিবহনের ক্ষেত্রে অনেক সংকট রয়েছে। আপনাকে হেঁটে হেঁটে পুরো দ্বীপ ঘুরে দেখতে হবে। ভ্রমণের জন্য অক্টোবর থেকে এপ্রিল মাস সবথেকে উপযুক্ত। এখানে বন ‍উজাড় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com