ভারতের বেসরকারি এয়ারলাইন্স জেট এয়ারওয়েজে এক শিশু জন্ম নিয়েছে। সৌদি আরব থেকে ভারত যাওয়ার পথে শিশুটির জন্ম হয়। ওই বিমান কর্তৃপক্ষ শিশুটির আজীবন বিনামূল্যে আকাশ ভ্রমণের সুবিধা করে দিয়েছে। তবে শিশুটি পৃথিবীতে আসার ব্যাপারটি সহজ ছিল না।
বিমান কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, বিমানটি তখন ৩৫ হাজার ফুট উঁচুতে। হঠাৎ করে গর্ভবতী এক নারীর নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রসব ব্যথা শুরু হয়। বিমানে কোনো ডাক্তার না থাকায় একজন ক্রু ও এক যাত্রী নারীটিকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন। অবশ্য তারা দুইজনই ছিলেন প্রশিক্ষিত নার্স।
তাদের সাহায্যে প্রায় ৩৫ হাজার ফুট উঁচুতে মধ্য আকাশে জন্ম হয় শিশুটির। জেট এয়ারওয়েজের বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি মুম্বাই পৌঁছানোর পর মা ও শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিমান কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছে।
সফলভাবে একটি ছেলের শিশুকে পৃথিবীতে আনতে প্রসবকাজে সহায়তার জন্য বিমানের ওই যাত্রী ও কেবিন ক্রুকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছে জেট এয়ারওয়েজ।
এর আগে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ৪২ হাজার ফুট উঁচুতে এক শিশুর জন্ম হয়েছিল। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের এক বিবৃতিতে বলা হয়, নাফি দায়াবি নামে একজন গর্ভবতী নারী (গর্ভধারণের ২৮ সপ্তাহ চলছিল) বিমানে ওঠার পর তার প্রসব বেদনা শুরু হয়। এরপর তাকে প্রসবকাজে সহায়তা করেন কেবিন ক্রু এবং কয়েকজন যাত্রী। জন্ম হয় কন্যাশিশু ‘কাদিজু’র। নবজাতক ও মা দুজনেই সুস্থ ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ এয়ারলাইন্সের নিয়ম অনুযায়ী, গর্ভবতী নারীদের গর্ভধারণের ৩৬ সপ্তাহ হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের বিমানে চড়তে কোনো বাধা নেই।তবে এক্ষেত্রে গর্ভবতী নারীদের ডাক্তারের স্বাক্ষরসহ একটি চিঠি দেখাতে হয় যে তাদের গর্ভধারণের কত সপ্তাহ পার হয়েছে।