যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ডিজনির থিম পার্ক ডিজনি ওয়ার্ল্ড বা ডিজনিল্যান্ড সম্পর্কে অনেকেই জানেন। প্রতি বছর প্রায় কয়েক কোটি মানুষের পা পড়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই থিম পার্কে।
এবার মরুভূমির বুকে রূপকথার রাজ্য গড়তে এগিয়ে এসেছে ডিজনি। আবুধাবিকে বিশ্ববিনোদনের মানচিত্রে তুলতে যাচ্ছে কোম্পানিটি। ওয়াল্ট ডিজনি ও আবুধাবিভিত্তিক মিরাল গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে ইয়াস আইল্যান্ডে গড়ে উঠবে নতুন ডিজনি থিম পার্ক।
বুধবার (৭ মে) এই বিশাল প্রকল্পের ঘোষণা দেন আবুধাবি সংস্কৃতি ও পর্যটন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং মিরাল-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খলিফা আল মুবারক এবং ডিজনি সিইও বব আইগার। ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স ও নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ খালেদ বিন মোহামেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
এটি হবে ডিজনির গত এক দশকে প্রথম নতুন পার্ক ও তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যে নির্মিত থিম পার্ক। ইয়াস আইল্যান্ড এরই মধ্যে বিশ্বের পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়, যেখানে রয়েছে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ও সিওয়ার্ল্ডের মতো আকর্ষণ।
২০২৩ সালে ৩ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি পর্যটক ভিড় জমায় এই দ্বীপে। ডিজনির অভিজ্ঞতা ইউনিটের চেয়ারম্যান জশ ডি’আমারো জানান, এই অঞ্চলটি নিয়ে তাদের আগ্রহ দীর্ঘদিনের।
এই পার্কে থাকবে ডিজনি গল্পভিত্তিক আকর্ষণ, থিম রেস্তোরাঁ ও বিপণিবিতান। ডিজনি ইঞ্জিনিয়াররা পার্কটির নকশা ও সৃজনশীল তত্ত্বাবধান করবে, আর অর্থায়ন ও পরিচালনায় থাকবে মিরাল। ডিজনি রয়্যালটি নিলেও সরাসরি মালিকানা নেবে না বলে জানা গেছে।
পার্কটির নির্মাণে সময় লাগবে ৫ থেকে ৮ বছর। ডিজনি বলছে, এটি হবে একটি বিনোদন-ওয়াটারফ্রন্ট রিসোর্ট যা আরব ঐতিহ্য ও ডিজনির কল্পনার মিশ্রণ। আবুধাবি এরই মধ্যে ১ হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ করেছে তাদের পর্যটন খাতে। আর ডিজনি তাদের ৬ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এ উদ্যোগ নিচ্ছে।
এই থিম পার্কটি কেবল আবুধাবির পর্যটন খাতে নয়, বরং পুরো অঞ্চলের অর্থনীতিতে একটি বিশাল ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। এটি মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, ভারত, এশিয়া ও ইউরোপের পর্যটকদের আকর্ষণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।