ভ্রমণ (Travel) করতে কে না ভালোবাসে! আর সেক্ষেত্রে যদি একজন সঙ্গী থাকে তাহলে তো তা সোনায় সোহাগা। বিশেষ করে নিজের জীবনসঙ্গীর সাথে ঘুরতে যাওয়ার রোমাঞ্চই আলাদা। আর ইদানিং একটু নির্জন জায়গাই (Offbeat Destination) বেশি পছন্দ করছে মানুষ। বিশেষ করে মধুচন্দ্রিমার জন্য।
তাই নির্জন কোনও দ্বীপের খোঁজে মানুষ এখন বিদেশেও পাড়ি দিচ্ছেন। কিন্তু সবার পক্ষে তো আর এই খরচ জোগানো সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় যদি দেশের মধ্যেই কোনো নির্জন দ্বীপের সন্ধান দিই আমরা? আজকের প্রতিবেদনে এমন এক নির্জন দ্বীপের কথা বলব যা আপনার মধুচন্দ্রিমাকে আরো সুন্দর করে তুলবে।
বঙ্গোপসাগরের নীল জলের বুকে হারিয়ে যাওয়ার আদর্শ ঠিকানা এই হ্যাভলক দ্বীপ। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে সবচেয়ে বড় দ্বীপ এটি৷ জেনে অবাক হবেন যে, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় ‘দেশদ্রোহী’দের ‘কালাপানি’ পার করে পাঠানো হত এই দ্বীপেই। আর বর্তমানে এই দ্বীপই হল মানুষের আগ্রহের জায়গা।
এখানে আপনার জন্য রয়েছে নাম না জানা রঙিন সব মাছ এবং প্রবাল প্রাচীর। এছাড়া নীল জলরাশির মাঝে সবুজ দ্বীপের সৌন্দর্য তো রয়েইছে। তাছাড়া ‘স্নোরকেলিং’র জন্যেও বিশেষ বিখ্যাত এই জায়গা। এখান থেকে নৌকা করে যেতে পারেন নীল দ্বীপে। এখানে রয়েছে আরও তিনটি বিচ। ভরতপুর, সিতাপুর এবং লক্ষ্মণপুর বিচ।
কোথায় থাকবেন : হ্যাভলক দ্বীপের বেশিরভাগ বাসিন্দাই বাঙালি। তাই থাকার কোনো অসুবিধা হওয়ার কথাই নেই। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন মানের এবং দামের হোটেল রয়েছে এখানে। কলকাতায় আন্দামান-নিকোবর পর্যটন দপ্তরের সরকারি একটি কার্যালয় রয়েছে। অফিসে গিয়ে অথবা অনলাইন যে কোনো জায়গা থেকেই বুকিং করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট : http://www.andamans.gov.in
কী ভাবে যাবেন : আকাশপথ অথবা জলপথ, দুটো বিকল্পই রয়েছে। কলকাতা ও চেন্নাই থেকে নিয়মিত জাহাজও ছাড়ে। আকাশপথে যেতে ঘণ্টাদুয়েক এদিকে জাহাজে সময় লাগে চার দিন। জাহাজের টিকিটের জন্য নজর রাখুন সংবাদমাধ্যমের পাতায়। খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে ‘দ্য শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া’।
ঠিকানা : ১৩ স্ট্যান্ড রোড, কলকাতা-৭০০০০১।