ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর অধ্যাপক এন্ড্রিউ ওয়াটসন বলেছেন, ‘প্রায় তিন থেকে চার শতাব্দী ধরে মুসলিম বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ ছিল এবং তারা নতুনত্বকে পছন্দ করত। আচরণ, সামাজিক গঠন ব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থা, অবকাঠামো, বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন—সব কিছুই এতে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। শুধুমাত্র কৃষি খাত নয়; অর্থনীতির অন্য শাখা-প্রশাখা এবং প্রায় সব কিছুই এই নতুনত্বের ছোঁয়ায় উদ্ভাসিত হয়েছে।’ (মুসলিম সভ্যতার ১০০১ আবিষ্কার, পৃষ্ঠা ১২৬)
মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ইবাদতের পাশাপাশি দুনিয়ার আনাচে-কানাচে থাকা আল্লাহ প্রদত্ত অনুগ্রহ অনুসন্ধানেরও নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এগুলোর অনুসন্ধানে মত্ত হয়ে আল্লাহকে ভুলে যাওয়া চলবে না। ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর যখন নামাজ সমাপ্ত হবে তখন তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো আর আল্লাহর অনুগ্রহ হতে অনুসন্ধান করো এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।’ (সুরা : জুমা, আয়াত : ১০)
অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারা কি জমিনে ভ্রমণ করে না? তাহলে তারা হৃদয় দিয়ে বুঝতে পারত, আর তাদের কান শুনতে পারত। প্রকৃতপক্ষে চোখ অন্ধ নয়, বরং বুকের ভেতর যে হৃদয় আছে তা-ই অন্ধ।’ (সুরা : হজ, আয়াত : ৪৬)