ব্যবহারকারীদের ভ্রমণ, ডাইনিং এবং ইভেন্ট পরিকল্পনার অভিজ্ঞতা সহজতর করতে ‘অপারেটর’ নামের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) প্রযুক্তি চালু করেছে ওপেনএআই। এটি একটি স্বয়ংক্রিয় এআই এজেন্ট, যা ফ্লাইট বুকিং, রেস্তোরাঁর রিজার্ভেশন, বাজারসদাই অর্ডার এবং ফরম পূরণের মতো কাজ দক্ষতার সঙ্গে সম্পাদন করতে সক্ষম।
অপারেটর কীভাবে কাজ করে?
গত বৃহস্পতিবার এক ব্লগ পোস্টে ওপেনএআই জানায়, অপারেটর ইন্টারনেট ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করে দেয়। এটি বাটন, মেনু এবং টেক্সট ফিল্ডের মাধ্যমে দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, ব্যবহারকারী চাইলে অপারেটরকে নির্দেশ দিতে পারেন নিউইয়র্ক থেকে মাউই যাওয়ার একটি সুবিধাজনক ফ্লাইট খুঁজে দিতে, যেখানে অনেক রাতে প্লেন অবতরণ করবে না। অপারেটর সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে ফলাফল প্রদান করবে। তবে লেনদেনের চূড়ান্ত ধাপটি ব্যবহারকারীকেই সম্পন্ন করতে হবে।
এটি আরও ব্যক্তিগতভাবে সাহায্য করার জন্য ফলোআপ প্রশ্ন করতে পারে, যেমন লগইন তথ্য সংগ্রহ। তবে ব্যবহারকারীরা চাইলে স্ক্রিনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিতে পারবেন।
প্রাথমিক সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা
বর্তমানে অপারেটর শুধু যুক্তরাষ্ট্রের চ্যাটজিপিটি প্রো সাবস্ক্রাইবারদের জন্য সীমিত আকারে উন্মুক্ত করা হয়েছে। শিগগিরই এটি প্লাস, টিম এবং এন্টারপ্রাইজ ব্যবহারকারীদের জন্যও উন্মুক্ত করা হবে। এছাড়াও, চ্যাটজিপিটির সঙ্গে সরাসরি ইন্টিগ্রেশন করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
যদিও অপারেটরের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যেমন ক্যালেন্ডার পরিচালনা এবং স্লাইড শো তৈরি করা। ব্যবহারকারীরা চাইলে ডেটা সংগ্রহ বন্ধ করতে বা সমস্ত ব্রাউজিং ডেটা মুছে ফেলতে পারবেন।
প্রতিযোগিতার দৌড়ে অ্যানথ্রপিক
ওপেনএআইয়ের এই উদ্যোগ জেনেরেটিভ এআই খাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যানথ্রপিকও পিছিয়ে নেই। তারা সম্প্রতি ‘কম্পিউটার ইউজ’ নামের একটি ফিচার চালু করেছে, যা মানুষের মতো কম্পিউটার স্ক্রিন বুঝে কাজ করতে সক্ষম।
অ্যানথ্রপিকের প্রধান বিজ্ঞানী জারেড কাপলান বলেন, এই প্রযুক্তি দশ বা শতাধিক ধাপে জটিল কাজ সম্পন্ন করতে পারে।
এআই খাতের ভবিষ্যৎ
গুগল, আমাজন, মাইক্রোসফট এবং মেটার মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে জেনেরেটিভ এআই বাজার ক্রমেই বিকশিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী এক দশকের মধ্যে এই খাতের বাজারমূল্য ১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
তথ্যসূত্র: সিএনবিসি