যদিও ভ্রমণ হতাশা নিরাময়ের কোনো প্রতিকার নয়। কিন্তু হতাশার বিরুদ্ধে লড়াই করার বিশেষ কার্যকরী উপায় হলো ভ্রমণ। বিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞানের জগতে হতাশা বা বিষণ্নতা নিয়ে তর্ক বিতর্ক রয়েছে। সেসব বাদেও আপানার হতাশা দূর করে মনকে উৎফুল্ল করতে ভ্রমণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তাই কিছু উপায় বা কৌশল আছে, যা ভ্রমণের মাধ্যমে আপনাকে হতাশার সাথে লড়াই করতে সাহায্য করবে।
নতুন মানুষের সাথে পরিচয়: হতাশার প্রথম কারণ নিঃসঙ্গতা। যদি বেশি নিঃসঙ্গ থাকেন, তাহলে হতাশার সম্ভাবনা আরও বেশি। আবার হঠাৎ সম্পর্ক ভেঙে গেলে নিঃসঙ্গতা আপনাকে গ্রাস করবে। এ অবস্থায় ভ্রমণ কিংবা নতুন মানুষের সাথে পরিচয় আপনাকে ট্রমা থেকে উদ্ধার করবে। ভ্রমণে নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হলে আপনার নিঃসঙ্গতা দূর হবে। কারণ প্রত্যেকের কিছু গল্প থাকে, যা আপনাকে নতুন অভিজ্ঞতা দিয়ে বিভ্রান্তি দূর করবে
প্রকৃতির সান্নিধ্য: প্রকৃতির সান্নিধ্য আমাদের মনকে সতেজ করে। মানব মস্তিষ্ক এমনভাবে তৈরি যে, ঘন জঙ্গলে, নদীর ধারে, পাহাড়ে বা ফুলের বাগানে শান্তি খুঁজে পায়। ফলে আপনি প্রকৃতির কাছাকাছি আসার পর হতাশা আপনার কাছ থেকে পালিয়ে যাবে; যতক্ষণ আপনি সেখানে থাকবেন। তাই প্রকৃতির সান্নিধ্যে বেশি সময় ব্যয় করা হতাশার বিরুদ্ধে লড়াই করার সবচেয়ে বড় উপায়।
ভ্রমণে পর্যাপ্ত ঘুম: হতাশার বড় লক্ষণ অনিদ্রা। আমরা প্রতিদিন যেভাবেই কাজ করি না কেন, হতাশা আমাদের চোখে অনিদ্রা নিয়ে আসে। তাই এ সময়ে কাজ থেকে ছুটি নিন। কিছুদিনের জন্য ভ্রমণ করে আসুন। প্রকৃতির বৈচিত্র্য উপভোগ করুন, পাহাড় পর্বতে ট্রাকিং করুন। যা আপনার শরীরে ক্লান্তির মাধ্যমে ঘুম নিয়ে আসবে। দূরে রাখবে হতাশাজনিত অনিদ্রাকে।
নিজেকে খুশি রাখা: আপনার কাজের বাইরের সময়গুলোর জন্য রুটিন করুন। নিজের খুশির জন্য সেসব কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। নিজের পচ্ছন্দের কাজে সময় দিন। সেটা হতে পারে যেকোনো ধরনের খেলাধুলা, বাইক রাইডিং, ফটোগ্রাফি, লেখালেখি, আড্ডা দেওয়া। যা আপনাকে হতাশা ভুলতে সাহায্য করবে।
মনে রাখবেন, ভ্রমণ আপনাকে শুধু হতাশার ঘোর থেকে কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে না, নিজেকে অন্যরকমভাবে উপলব্ধি করতে শেখাবে। বিভিন্ন মানুষের জীবনযাপন সম্পর্ক ধারণা দেবে। ভ্রমণ নিজেকে নতুন করে গড়তে শেখাবে।
প্রকাশ জাগো নিউজ