করোনাকালীন প্যান্ডামিক সিচুয়েশনের শুরুটাতে নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ, নামায-কালাম,লেখালেখি, বইপড়া আর পাখিদের সাথে কথোপকথন করে সময় কাটালেও একটা সময়ে এসে বোরিং ফিল করতে শুরু করলাম। আয়নার সামনে যতবার নিজের চেহারাটা দেখতাম, ততবারই মনে হতো আমি কী সেই হ্যাপি? তবে আমার সেই মিষ্টি হাসিটা গেল কোথায়? সরকারিভাবে লকডাউন তুলে নিলেও আমার কর্মজীবন স্বাভাবিক না হওয়ায় আমি কার্যত লকডাউনেই আছি। আমি প্রায়ই বোরিং ফিল করছি। কেবলই মনে হতো আমি আমার মিষ্টি হাসিটা কোথায় গেলে কিংবা কিভাবে যে খুঁজে পাই!
লকডাউন শেষে পর্যটন জোনগুলো খুলে দেয়া হলে ভ্রমণকন্যা সংগঠনটি যখন ইভেন্ট আহবান করা শুরু করলো তখন আমি ও তাদের আহবানে সাড়া দিলাম মিষ্টি হাসির খোঁজে রাতারগুলে। সিলেটের ভোদাগঞ্জের সাদা পাথর ও রাতারগুল ঘুরে ঘুরে আমার মিষ্টি হাসিটা খুঁজে পেলাম ঠিকই, কিন্তু তবুও কেন যেন স্বস্তি পাচ্ছিলাম না।
ভাবলাম পাহাড়ে যাই। জীবন সংগ্রামী মানুষ বলেই কি না ক্লান্তি নিবারনের জন্য পাহাড় বরাবরই আমার পছন্দের জায়গা। এবার বাড়ি গিয়ে পারিবারিক কিছু বিষয়ে প্রচন্ড মন ও মেজাজ খারাপ হয় । মনে মনে ভাবতেছিলাম মন- মেজাজ খারাপকে প্রশ্রয় দিলে তো আমি মরেই যাবো। আর তখনই ফেইসবুকে ঢুকে দেখলাম একটা ইভেন্ট। গুলিয়াখালী বীচ আর খৈয়াছড়া ঝর্না দেখার। সামনূনকে (আমার মামাতো ভাই) জিজ্ঞেস করলাম যাবি পাহাড়, সমুদ্র দেখতে? গেলে এভাবেই যেতে হবে। ঢাকায় আসার জন্য ট্রেনের টিকিট আমার আগেই বুকিং ছিল। সামনূনের জন্য আরেকটা ঢাকাগামী এগার সিন্ধুর ট্রেনের প্রথম চেয়ারে টিকিট কাটলাম। ইভেন্ট বুকিং করলাম। ইভেন্ট ম্যানেজার জানালেন বাসের একদম পিছেনের সিট দুটো আমাদের। তবুও রাজি হলাম। কারন মাথার ভূত ঝর্না, সমুদ্র অথবা পাহাড়ে দিয়ে আসবো। তবুও মাথায় রাখবো না ।
ঢাকার সায়েদাবাদের হুজুরের বাড়ির গেট থেকে রাত সাড়ে ১১ টায় রওয়ানা হয়ে ভোরে পৌঁছলাম। নাস্তা করালো স্হানীয় এক হোটেলে। তারপর রওয়ানা হলাম গুলিয়াখালী বীচের উদ্দেশ্যে। সাথে থাকা সামনূনের এটা প্রথম ট্যুর। সে খুবই এ্যাডভেঞ্জার মুডে আছে। একটু পর পর জিজ্ঞেস করে আপা আর কতক্ষণ পর পাহাড় দেখবো? আর কতক্ষণ পর সমুদ্র দেখবো?
অটো সিএনজি করে গ্রামের মেটোপথ দিয়ে গুলিয়াখালী বীচ দেখতে হলে দীর্ঘ একটা পথ কাঁদা-মাটি পাড়ি দিয়ে যেতে হবে। দেখলাম ছোট্ট বাচ্চা থেকে শুরু করে মধ্যবয়সী সবাই কাঁদামাটি ডিঙ্গিয়ে পাড়ি দিচ্ছে গুলিয়াখালী বীচ দেখতে। কি আর করা আমিও কাঁদাপানিতে নেমে হাঁটা ধরলাম গুলিয়াখালী বীচ দেখতে। গুলিয়াখালী বীচ দেখে আমি মোটেও আনন্দ পেলাম না, যন্ত্রণা ছাড়া। কাঁধ ব্যাগে ঝুলিয়ে যে ইয়োলো রংয়ের জামদানী শাড়িটি নিয়েছিলাম তা পড়ে আর ছবি তোলা হলো না। তবে সামনূন খুবই মজা পেয়েছে। অনেক ছবি তুলেছে। বীচ থেকে ফেরার পর প্রত্যেকের শরীর কাঁদায় মাখামাখি। দেখে যেন মনে হচ্ছে একেকটা জাত জেলে। কাঁদা পরিষ্কার করার জন্য অবশ্য একদল ছেলে দাঁড়িয়ে আছে পানি নিয়ে। রীতিমতো হাঁকাচ্ছে আপা আসেন, ভাইয়া আসেন কাঁদা পরিষ্কার করে দেই প্রতিজন ১০ টাকা। সে এক অন্যরকম অভিযান শেষে ফিরলাম । আগে জানলে ফ্রী ট্যুর হলেও আসতাম না। যাই হোক বীচ দেখা শেষে ডাব খেলাম। চা পান করলাম। এনার্জি সঞ্চয় করে নিলাম অশান্ত মনে প্রশান্ত হতে ঝর্নার কলরোল শুনবো বলে।
গুলিয়াখালী বীচ দেখা শেষে রওয়ানা হলাম খৈয়াছড়া ঝর্না দেখার উদ্দেশ্যে। যদিও ঝর্নাটি আমি আগেও একবার দেখেছিলাম। প্রায় একঘন্টা হেঁটে যেতে হয়। ঝিরিপথ আছে। ঝর্নাটির তিনটি ধাপ রয়েছে। প্রথমটিতে সহজে যাওয়া যায়। তবে উপরের ঝর্না দেখতেই যতসব বিপদ। পিচ্ছিল পথ। অসংখ্য মানুষ ঝিরিপথে হেঁটে এসে পিচ্ছিল করে ফেলে রাস্তাটি। বৃষ্টি হলে তো আর কথাই নাই।
সামনূন দেখতে নাদুসনুদুস । উপরের ট্রেইলে উঠার সাহস পাচ্ছে না। সে বাল্কি বলে আমিও উৎসাহ দিচ্ছিলাম না। টিমের যে সদস্যরা উপরে যাবেন না তাদের সাথে সামনূনকে রেখে আমি রওয়ানা হলাম উপরের ঝর্না দেখতে। ভাবলাম যাই। দেখে আসি। একবার দেখেছিলাম। আরেকবার দেখি। জীবনে আর কখনো আসি কি না আসি। ঝর্নায় যাওয়ার ঝিরিপথটাই অনেক সুন্দর। এতো এতো অপরুপ। এতো নিস্তব্ধতা। অনেক পিচ্ছিল ও আঁকাবাকা পথ। তবুও আমার মতো মানুষেরা যে কি করতে এতো নিস্তব্ধ পথ পাড়ি দেয়! কি শান্তি খুঁজে পায় তা একমাত্র আমার মতো অভিযাত্রীরাই বলতে পারবে।
প্রায় একঘন্টা পথ পাড়ি গিয়ে পৌঁছলাম ঝর্নার দ্বিতীয় অংশটি দেখতে। ও আল্লাহ! কী যে সুন্দর! কী যে অপরুপ বিধাতার সৃষ্টি। আসলে লিখে বুঝানো সম্ভব নয়। সত্যি কথা বলতে কি সৌন্দর্য উপভোগের বিষয়। ঝর্নার বামপাশে আরো চল্লিশ মিনিট ট্রেকিং করলে আরো একটি ঝর্না রয়েছে সেটি নাকি আরো সুন্দর। আগেরবার সে ঝর্নাটি দেখতে পারিনি। কারন সে যাত্রায় আমি ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। এর মধ্যে টিম হোস্ট বললেন ঝর্নার সমস্ত সৌন্দর্য নাকি সেখানেই। ঝিরিপথে আবারো হাঁটা শুরু করলাম।
এবার শুরু হলো বৃষ্টি। বৃষ্টির মধ্যে হেঁটে একধরনের মজা পাচ্ছিলাম। সব অপরিচিত মানুষ। তবুও কাউকে অচেনা মনে হয় না৷ সবাই একই পথে হাঁটছি। একই উদ্দেশ্য হাঁটছি। বৃষ্টি বাড়তে লাগলো। বিশাল এবড়ো থেবড়ো পাথর টপকিয়ে ততক্ষণে পৌঁছে গেছি ঝর্নাতলায়। আর তখনই হোস্ট আমাদের সাবধান করলেন উপর থেকে পাথর পড়তেছে। ঝর্নার কাছে যাওয়া যাবে না। এতো কষ্ট করে গেলাম তবু ছবি তোলার ও সুযোগ দিলেন না। জায়গাটা নিরাপদ নয় বলে আমাদের সরিয়ে আনলেন। কিন্তু আমাদের চেয়ে দুঃসাহসিক একটি টিম ঝর্নার উপরে কি আছে তা দেখার জন্য আরো উপরে উঠে গেলেন। উপর থেকে ঘোষনা দিচ্ছেন সেখানে নাকি রয়েছে আরো বেশি সৌন্দর্য! উনারা নাকি ওখানে রাতে তাবু গেঁড়ে বসত করবেন।
বৃষ্টি হয়তো ১৫-২০ মিনিট হয়েছে। এরিমধ্যে পাহাড়ে দেখতে পাচ্ছি স্রোতপ্রবাহ। পা আটকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। সবাই হোঁচট খাচ্ছে। কোথাও দাঁড়াবো তেমন কোন জায়গা নাই। পাহাড়ের কিনারায় দাঁড়ানো নাকি আরো নিরাপদ নয়। পাহাড় ধসে পড়তে পারে। স্রোতপ্রবাহ আরো বাড়তে পারে। আমরা ডুবেও যেতে পারি। হয়তো সাঁতরে পার হওয়া লাগতে পারে। লোকাল গাইড জানালো সেসব কথা। আর সবার মতো আমিও ভয়ে অস্থির। সবার চেয়ে আমিই মনে হয় একটু বেশি ভয় পাচ্ছিলাম। বারবার সামনূনের জন্য ও টেনশন হচ্ছে। ও নিরাপদ স্হানে আছে তো? ছোট মানুষ। মোবাইলে নেটওয়ার্ক ও নেই যে ফোন দিয়ে ওর খোঁজ নিব।
বৃষ্টি হলে পাথর নাকি ঘেমে যায়। অথবা পাথরের ও নাকি দুঃখ আছে। সেটা গানে শুনেছি। এবার বাস্তবে দেখলাম। আমার মনে হয় মানুষের যেমন দুঃখকষ্ট হলে কেঁদে হাল্কা হয়। যেমন কেউ হাউমাউ করে কাঁদে, কেউ নীরবে মুখ লুকিয়ে কাঁদে। তেমনি পাথরের ও হয়তো দুঃখ আছে। এই যে আমরা পাথরের বুকছিঁড়ে পা বাড়াই , রোদে পুড়ে পাথর, তাদের সে কষ্টটাই হয়তো বৃষ্টির জ্বলে কেঁদে ভাসিয়ে দেয়।
প্রতিবার পাহাড়ে গেলে এতো এতো কষ্ট হয় যে মনে মনে বলি আর কোনদিন পাহাড়ে যাব না। এবারই শেষ। কিন্তু পাহাড় থেকে বেড়ানোর পর ছবিতে পাহাড়ের সৌন্দর্য, প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য দেখে এতো মায়া কাজ যে প্রশান্তির জন্য আবার পাহাড়কেই বেছে নেই।
এবারেই প্রথম পাহাড় থেকে বেড়িয়ে এসেও স্বস্তিতে কাজে মনোনিবেশ করতে পারছিলাম না। তাই ভাবলাম যাই, সমুদ্রে যাই। সমুদ্রের গর্জনে যদি প্রশান্ত হতে পারি।
এবার আমি সেন্টমার্টিন-কক্সবাজার ট্যুরে গিয়েছিলাম শুধুমাত্র মেয়েদের নিয়ে ঘুরাঘুরির সংগঠন Travelletts of Bangladesh ভ্রমনকন্যার সাথে… ৩৬ জন ভ্রমনকন্যা একসাথে। যাদের কেউই কারো সাথে হয়তো বা পূর্ব থেকে পরিচিত নন। অথবা একজন-দুজন – তিনজন মিলে মিলে ৩৬ জন। যেমন আমার সাথে ছিলেন আমার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা এডভোকেট সোহানা জেসমিন আপা এবং উনার মা। যদিও উনার মা মানে আন্টির সাথে ট্যুর বাস টার্মিনালেই পরিচয়। তবে যেহেতু আমার মতো সবারই রয়েছে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো সুন্দর একটা মন। সেজন্য হয়তো কারো সাথেই মিশতে কারো সমস্যা হয় না।
সমুদ্র আমি আগেও দেখেছি। এবারও দেখলাম। তবে এবার সমুদ্র দেখার চেয়েও বেশি দেখেছি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মানবিকতা, সাংগঠনিক দক্ষতা আর একজন ষাটোর্ধ মানুষের মনমানসিকতা আর মা – মেয়ের ভালোবাসা।
আমি সাধারনত চেনা মানুষ থেকে অচেনা মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা পাই বেশি। শিক্ষাটা নিতে পারি বেশি। আমি সবসময়ই অচেনা মানুষের প্রত্যাশায় পথ চেয়ে থাকি। এবারের ট্যুরে আমার মনে হয়েছিল আন্টি কাছ থেকে আমি পাবো হয়তো কোন শিক্ষা। যা আমাকে এনার্জি দিবে, মুগ্ধতা দিবে, আগামীদিনের পথচলায় পাথেয় হবে। সত্যি আন্টি আমাকে নিরাশ করেনি। আন্টি ষাটোর্ধ একজন নারী। নিজগুণে কিছুক্ষণের মধ্যেই উনি ট্যুরমেট সকলের আন্টি হয়ে উঠলেন। আন্টি একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের কন্যা এবং একজন আর্মি অফিসারের স্ত্রী হিসেবে জীবনে ৫০ বারেরও বেশি সমুদ্র দেখেছেন। তবে এবার সমুদ্র দেখতে গিয়েছেন মূলত তার চল্লিশোর্ধ্ব কন্যার মন ভালো করতে। এবং তিনি বলেছেন এবারে সমুদ্র দেখে তিনি অন্য যেকোন বারের চেয়েও বেশি প্রীত হয়েছেন। আন্টি অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল এবং ভ্রমণ পিপাসু হওয়ায় তিনি আগামী ডিসেম্বরে অনন্ত একনাগাড়ে ১৫ দিন সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য স্বপ্ন দেখছেন।
অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল আর ভ্রমণ পিপাসু হলেই এধরণের স্বপ্ন দেখা সম্ভব বলে আমি মনে করি না। আমার মতে আন্টি অনেক সাহসী এবং আত্নবিশ্বাসী। আন্টির হাঁটাচলা বেশ কষ্টসাধ্য। তবুও তিনি এখনো স্বপ্নবিলাসী। যা আমি এখনো স্বপ্ন দেখার সাহস করতে পারি না। তার জন্য অবশ্য আমার অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতাটা ও একটা কারন হতে পারে ।
আমি প্রতিবার ঘুরতে যাই যখন আর পারি না অথবা দমে যাই যাই অবস্থা অথবা ব্রেইন রিচার্জ করতে। এবারে আমি প্রকৃতি থেকে মাইন্ড বোস্ট করার পাশাপাশি নিলাম আন্টির কাছ থেকে ইচ্ছেশক্তির শিক্ষাটা আর ভ্রমণকন্যা টিমের হোস্টদের কাছ থেকে নিলাম মানবিক- সাংগঠনিক- দক্ষ- বিনয়ী হওয়ার শিক্ষাটা। আন্টিকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে বাসে, শীপে, ভ্যানে কেউ কেউ যে বলেন নি আপনি এই শরীর নিয়ে কেন এলেন সেন্টমার্টিন দেখতে? তা নয়। কিন্তু ভ্রমনকন্যা টিমের হোস্টরা যেন নিয়োজিত ছিলেন আন্টির যে কোন সহযোগিতায়।
আমার রাজনৈতিক অভিভাবক অধ্যাপক অপু উকিল দিদির সাথে ও একবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দেখেছিলাম। আসলে তখন গিয়েছিলাম ভারত- বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ডায়ালগে অংশ নিতে। ছিলাম রয়েল টিউলিপের মতো রিসোর্টে। তখন আমার মনে হয়েছিল সেসময়কার জার্নিটা ছিল আমার জীবনের সেরা জার্নি। দিদি যদিও আমাকে অনেক ভালবাসেন তবুও দিদির এতো কাছাকাছি এর আগে থাকা হয়নি।
তবে আমার কাছে এবারের জার্নিটা আরো চমৎকার মনে হয়েছে এজন্য যে, একজন ষাটোর্ধ মা তার চল্লিশোর্ধ্ব কন্যার মন ভালো করার জন্য গিয়েছেন সেন্টমার্টিনের মতো জায়গায় ট্যুরে। ক্যান ইউ এমাজিন? আমি জানি না পৃথিবীতে এমন ক’জন মা আছেন যে এই বয়সে, এই শরীর নিয়ে সন্তানকে মানসিক সাপোর্ট দিতে পারেন। তবে আমি যদি কখনো মা হই আমি ও আমার সন্তানকে এমন সাপোর্ট দিতে পারবো কিনা তাও জানি না। আফসোস হায়! সত্যি আন্টির মতো মা সবাই হতে পারবেন না আর সবাই সোহানা আপার মতো মাতৃস্নেহে বাঁচেন ও না। সত্যি আমি এবারের সেন্টমার্টিন ট্যুরে অনেক বেশি প্রীত হয়েছি। খুবই এবং খুবই প্রীত হয়েছি। আমার চোখের জ্বল কিংবা দুঃখ কষ্ট যা আছে তার সবই পাহাড়, ঝর্না আর সমুদ্রের জলরাশিতে দিয়াছি মিশায়ে লিখবো বলে, নতুন উদ্যমে কাজের স্পৃহা পাবো বলে অনেকখানি বেশি।
তানিয়া সুলতানা হ্যাপি