এবারের ঈদ উৎসবে নয় দিনের লম্বা ছুটির ফাঁদে পড়ছে দেশ। ঈদের দিন তো বটেই, গোটা সময়টা উপভোগ্য করে তুলতে প্রস্তুত দ্বীপজেলা ভোলার বিনোদনকেন্দ্রগুলো। যে যেখানেই থাকুন না কেন, উৎসব-পার্বণে নাড়ির টানে নিজ এলাকায় ছোটে মানুষ। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ভাগ করে নেয় সবটুকু সময়। খাবার-দাবারের এলাহি কাণ্ড তো আছেই, সবাই মিলে মনোরম কোনো স্থানে বেড়ানোর আনন্দও কম নয়। তাই সবদিক বিবেচনা করেই ভোলায় জোর দেওয়া হয়েছে বিনোদনকেন্দ্রগুলোয়। এসব কেন্দ্রে মনোরম পরিবেশ ও লোভনীয় খাবারের পাশাপাশি শিশুদের জন্য আছে খেলনাসহ বিভিন্ন ধরনের রাইডার।
উপকূলীয় জেলাটির অন্যতম দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে—সদর উপজেলার তুলাতলী মেঘনাপাড়ের ভোলা ইলিশ বাড়ি, আলাপন পার্টি সেন্টার, ইলিশা শাহবাজপুর পর্যটনকেন্দ্র, তেঁতুলিয়া গঙ্গাপুর উদ্যান, ড্রিমল্যান্ড শিশু পার্ক ও খেয়াঘাট বেবি ল্যান্ড শিশু পার্ক।
এ ছাড়াও পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত চরফ্যাসন ওয়াচ টাওয়ার, শিশু বিনোদনকেন্দ্র, বেতুয়া প্রশান্তি পার্ক এবং কাকতাড়ুয়া ও চর কুকরিমুকরি। ভোলা সদরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পুলিশ প্রশাসন আয়োজন করেছে মাসব্যাপী পুনাক শিল্প ও শিশু বিনোদন মেলা।
ভোলার উত্তর চরনোয়াবাদ খেয়াঘাট সড়কের পাশে সার্কিট হাউস সংলগ্ন প্রায় ৫ একর জমিতে ব্যক্তিমালিকানায় গড়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন ড্রিমল্যান্ড শিশু পার্ক। জেলার সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিনোদনকেন্দ্র এটি। সার্বিক নিরাপত্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো। পরিবারপরিজন নিয়ে ঈদ আনন্দ উদযাপনের আদর্শ স্থান হতে পারে এটি।
ড্রিমল্যান্ড শিশু পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাছির উদ্দিন লিটন বলেন, ভোলায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় শিশু-কিশোরদের কোনো বিনোদনকেন্দ্র নেই। ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু গড়ে উঠেছে। ঈদ সামনে রেখে ভ্রমণপিপাসুদের চাহিদা অনুযায়ী বিনোদনকেন্দ্র ও রিসোর্টগুলো নতুন সাজে সাজানো হচ্ছে। পবিত্র রমজান শেষে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাবে বলে আমরা আশাবাদী।
ভোলা ইলিশবাড়ি বিনোদনকেন্দ্রের পরিচালক হেলাল উদ্দিন গোলদার বলেন, গত কয়েক বছরে ভোলার মেঘনাপাড়ে ইলিশ বাড়িসহ কিছু বিনোদনকেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এগুলোর আধুনিকায়ন হচ্ছে। আমাদের এ রিসোর্টে এবারের বিশেষত্ব নাগরদোলাসহ শিশুদের বিভিন্ন ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে।
ভোলার পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম জানান, রিসোর্ট ও পর্যটনকেন্দ্রগুলোয় পুলিশ ও সাদা পোশাকধারী সদস্যরা বিশেষ দায়িত্বে থাকবেন। আর ৯৯৯ সহ জেলা পুলিশ ও সব থানার জরুরি নম্বর সব সময় খোলা থাকছে। বিনোদনকেন্দ্রগুলোয় প্রচুর ভিড় হয়। বিচ্ছিন্ন দু-একটি ঘটনায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ছাড়া পেয়ে যায়। তখন তারা আরও বেপরোয়া হয়ে আবার অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তাই সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।