ভেনিস এমন এক শহর যা নিয়ে কথা বলার জন্য কোন সূচনার দরকার নেই। যারা কখনো ভেনিস দেখেনি তাদের জন্য তা স্বপ্নের শহর। বেশিদূর আগের কথা নয় যখন নৌকা বাদে এ দ্বীপে পাড়ি দেওয়া যেতো না। কেননা এর অবস্থান ছিলো সমুদ্রের মাঝে। একবার ভেনিসে প্রবেশ করলে সেখানে গাড়ি বা সাইকেল ব্যবহার করা যাবে না। আপনাকে হেঁটে যেতে হবে বা নৌকা ব্যবহার করতে হবে।
টিকেট স্ক্যান করে ওয়াটার ট্যাক্সি ব্যবহার করা যাবে। সেখানের বিথ্যাত রিয়ালতো ব্রীজের পাশে গ্র্যান্ড ক্যানালকে দেখলে ছোটখাটো সদরঘাটের মত মনে হতে পারে! এখানে পুলিশি কার্যক্রম বা খাবার ডেলিভারি সবকিছুর জন্য বিভিন্ন জায়গায় যেতে নৌকা ব্যবহার করা হয়।
ভেনিসের আরও একটি মজার ব্যাপার হলো গলির মধ্যে হারিয়ে যাওয়া। এ বিষয়টি এড়িয়ে চলা আসলেই কঠিন। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, এখানের অল্পকিছু ক্যানালের পানিতে দুর্গন্ধ থাকতে পারে। ইতিহাস বলে বাণিজ্যিক রুট হিসেবে ভেনিস সাম্রাজ্য এর সময়ে খ্যাতি লাভ করেছিলো।
তাদের অসাধারণ নৌ বাহিনী ছিলো ও শক্তিশালী সাম্রাজ্যেরে রাজধানী হিসেবে ভেনিস ভূমিকা রেখেছে। ভেনিসের সবথেকে গ্রেটেটস আর্কিচটেকচার বলা হয় সেন্ট মার্কোস ক্যাথিড্রাল। তার পাশে রয়েছে ডোউজেস প্যালেস। ৪০০ বছর আগে ইউরোপের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পলিটিকাল বিল্ডিং এর একটি ছিলো।
তারা সোনালী যুুগে বড় একটা সাম্রাজ্য নিয়ত্রণ করতে পেরেছিলো কারণ তাদের বড় জাহাজের নৌ বহর ছিলো। এর এসব জাহাজ নির্মাণ হত ‘ভেনিশিয়ান আর্সেনাল’ কারখানায়। এসব যুদ্ধের জাহাজ ভেনিসকে নিরাপত্তা দিতো। আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে বর্তমানে ভেনিসে গরম বেড়েছে ও আগের মতো বৃষ্টি হয় না।
ইতিহাস অনুযায়ী অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি এখানে জেল খাটতে বাধ্য হয়েছে। তাদের এখানে বন্দী করা হতো। এখানে একটি ইন্টারেস্টিং বিষয় হচ্ছে ক্যানেলর পাশে যাদের বাড়ি তাদের ঘর থেকে বের হতে বা ঘরে ঢুকতে নৌকা লাগবেই। সেখানে আপনি নিয়ম বহির্ভূত কোন কাজ ইচ্ছা হলেও করতে পারবেন না। কারণ আপনার উপর নজর রাখছে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ