মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা সত্ত্বেও চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) জর্ডানে পর্যটন খাতে চাঙ্গাভাব বজায় ছিল।
দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এ সময় পর্যটন খাত থেকে আয় হয়েছে ৩৬৭ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি।
তবে জুনে আয় কিছুটা কমেছে। এ মাসে পর্যটন খাতে আয় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬১ কোটি ৯২ লাখ ডলারে। এসব তথ্য দিয়েছে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা পেত্রা।
পর্যটন প্রবৃদ্ধির এ ধারা শুধু জর্ডানে নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যেই অব্যাহত রয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের (ডব্লিউটিটিসি) তথ্যমতে, ২০২৪ সালে অঞ্চলটির পর্যটন খাত জিডিপিতে ৩৪ হাজার ১৯০ কোটি ডলার অবদান রেখেছে এবং ৭৩ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। ২০২৫ সালে এ সংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়েছে ডব্লিউটিটিসি।
সংস্থাটির মতে, চলতি বছর জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান হবে ৩৬ হাজার ৭৩০ কোটি ডলারের এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ ৭৭ লাখ ছাড়াবে।
মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হয়েছে সৌদি আরবে। দেশটি ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক পর্যটন আয়ে ১৪৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। পাশাপাশি ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও কাতারও বড় ধরনের বিনিয়োগ, সংযুক্তি ও আন্তর্জাতিক ইভেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে।
বছরের প্রথম ৬ মাসে জর্ডানের পর্যটন খাতে এশীয় পর্যটকদের থেকে আয় ৪২ দশমিক ৯ শতাংশ, ইউরোপীয়দের থেকে ৩৫ দশমিক ৬ শতাংশ, আমেরিকা মহাদেশ থেকে আগতদের কাছ থেকে ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ এবং আরব পর্যটকদের কাছ থেকে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। অন্যান্য অঞ্চলের পর্যটকদের কাছ থেকেও আয় বেড়েছে ৪৩ শতাংশ।
তবে জর্ডানে প্রবাসীদের ভ্রমণ থেকে আয় দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে, বিদেশ ভ্রমণে জর্ডানিদের ব্যয় ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলারে। যদিও জুনে এ খাতে ব্যয় কমেছে ২২ দশমিক ৭ শতাংশ।
চলতি বছরের শুরু থেকেই জর্ডানের পর্যটন খাতে উল্লম্ফন লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রথম প্রান্তিকে দেশটিতে ১৫ লাখ ১০ হাজার পর্যটক গেছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। এ সময়ে পর্যটন আয় ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেড়ে ১২২ কোটি জর্ডানি দিনারে (১৭২ কোটি ডলার) পৌঁছেছে।