ভুটান বেড়ানোর স্বর্গরাজ্য। উচু পর্বতমালা, ঘন বনজঙ্গল, সবুজ ভ্যালি এবং সনাতন সংস্কৃতি ভূটানার ঐতিহ্য। ভুটান পৃথিবীর একমাত্র ধর্ম রাষ্ট, যেখানে সকল আইনকেই ঈশ্বরের আইন বলে ধরে নেওয়া হয়। ভুটানের মোহময় প্রকৃতি এবং পর্যটন আকর্ষণ উপেক্ষা করা সম্ভব না। সব মিলিয়ে ভুটান একটি ডেষ্টিনেশন যা আপনি পৃথিবীর আর কোথাও খুজে পাবেন না। ভুটানের সব থেকে বড় আকর্ষন এর রাজধানী থিম্পু। থিম্পু নদীর ধারে সিলভান ভ্যালিতে অবস্থিত থিম্পু শহর ট্রাডিশনাল এবং এথনিক ভুটানিজ কলা স্থাপত্য শিল্প সংস্কৃতির পীঠস্থান থিম্পুর ইউনিক ফ্লেভার আপনাকে বারবার এখানে আসতে বাধ্য করবে।
সিমতোখা জং ১৯২৭ সালে তৈরি। এটি থিম্পু ভেলির গেইটওয়ে। ফ্রেসকো এবং সেন্ট কার্ভিংস সিমতোখার বিশেষ আকর্ষন। থিম্পু জং থিম্পু শহরের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত। এখানে আছে প্রধান সরকারি ডিপার্টমেন্ট, দ্যা ন্যালনাল আসেম্বেলি, সেন্ট্রাল মনিস্টিক বডির গ্রীম্মকালীন হেডকোয়ারর্টার। পায়ে থেটে থিম্পুর রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর তুলনা হয় না। বিশেষ করে এখানে এলে উইক এন্ড মার্কেটে যেতে ভুলবেন না।
দোচুলা পাস হয় ড্রাইভ করে পৌছানো যায় থিম্পু থেকে ৭০ কিমি দুরে অবস্থিত পুনাখায়। আকাশ পরিষ্কার থাকলে ৩৫০ মিটার উচু এই পাশ থেকে পুরোটা হিমালয় রেন্জ দেখা যায়। পুনাখা ভুটানের সবচেয়ে উর্বর ভ্যালী।
দেখেতে পারেন ফো ছু এবং মো ছু নদী এবং পোনাখা জং। এছাড়া ন্যাশনাল লাইব্রেরী, হ্যান্ডিক্রাফ্টস এ্যাম্পোরিয়াম, পেইন্টিং স্কুল এবং ট্রাডিশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট।
থিম্পু ছাড়াও হিমালয়ের কোল ঘেষে পারো শহর দেখতে পারেন। থিম্পু ও পারো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর। বিশেষ করে বসন্ত ঋতুতে পারোর রুপ দেখার মত। পারোতে দেখতে পারেন পারো ন্যাশনাল মিউজিয়াম। তবে পারোতে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ টাইগার নেষ্ট। ভুটান টুরিজম এখানে একটি সুন্দর কফি হাউজ তৈরি করে দিয়েছে। ভুটানের আধ্যাতিক স্পট অবশ্য বুমথাং। ভুটানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জং মন্দির এবং মহল এখানে অবস্থিত। দেখে নিতে পারেন প্যালেস, মন্দির এবং ভুটানিজ জং। এই এলাকায় ব্লু শিপ, মাস ডিয়ার, হিমালয়ান ডিয়ার ও ভাল্লুক চোখে পড়বে।
অক্টোবর এবং নভেম্বরে ভুটান যাওয়ার সব থেকে ভাল সময়। তখন আকাশ পরিষ্কার থাকে এবং পাহাড়ে ভাল করে ঘোরা যায়। পাশাপাশি আবহাওয়াও ভাল থাকে এবং বিভিন্ন উৎসব এই সময় অনুষ্ঠিত হয়। থিম্পু ও পারোতে ঠান্ডা বেশি। শীতের সময় থিম্পু ও পারোতে বরফ পড়ে। তবে ভুটান বেড়াতে গেলে পর্যাপ্ত শীতের কাপড় সঙ্গে নিবেন।