ভ্রমণ, ব্যবসা কিংবা অন্যান্য প্রয়োজনে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতে হয়। বিদেশে ভ্রমণ করতে গেলে সর্বাগ্রে এবং অবশ্যই যে কাজটি করতে হয় তা হলো, সে দেশের ভিসাপ্রাপ্তি। এই ভিসার জন্য আবেদন করতে গেলে দেখা দেয় নানা ধরনের বিপত্তি, যার মধ্যে অন্যতম হলো কাঙ্ক্ষিত দেশটির দূতাবাস আমাদের দেশে না থাকা। ফলে আবেদনকারীকে ভিসার জন্য তৃতীয় কোনো দেশে গিয়ে আবেদন করতে হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশে মাত্র ৩৮টি দেশের দূতাবাস রয়েছে, যেখান থেকে ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। তবে অধিকাংশ দেশের দূতাবাস এখানে নেই। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত আবেদনকারীকে ভিসার জন্য তৃতীয় দেশ ভ্রমণ করতে হয়। বাংলাদেশে দূতাবাস নেই এমন ৫০টির বেশি দেশের ভিসা সরবরাহ সহযোগিতা নিয়ে এলো www.visathing.com।
এখন আর ভিসার জন্য আবেদনকারীকে তৃতীয় কোনো দেশ ভ্রমণ করতে হবে না। খুব সহজেই তারা ভিসা থিং-এর মাধ্যমে ভিসাপ্রাপ্তির আবেদন ও যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে তা পেতে পারেবেন।
দেখা যায়, ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিশ্বের উন্নত দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে ‘ভিসা’ ব্যাপারটি একেবারেই ভিন্ন। তারা অনেক দেশেই ভিসা ছাড়া শুধু পাসপোর্ট বা আইডি কার্ড নিয়েই ভ্রমণ করতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে ভ্রমণের আগে ভিসা করিয়ে নেওয়া একটি অনিবার্য বিষয়। ফলে প্রায় ১৭০টি দেশের ক্ষেত্রে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করার সুযোগ বাংলাদেশি নাগরিকদের নেই।
বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়ার কাজটি খুব একটা সহজ নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সঠিক তথ্যের অভাব অথবা তথ্য সংগ্রহের সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় কাজটি আরো জটিল হয়ে যায়। এসব জটিলতা থেকে মুক্তি দিতে ওয়েবসাইটে (www.visathing.com) ১৯২টির বেশি দেশের ভিসা তথ্য দিয়ে সাহায্য করে যাচ্ছে সবাইকে।
খুব সহজেই যে কেউ ওয়েবসাইট থেকে সর্বশেষ তথ্য ও চেকলিস্ট পেতে পারেন। মূলত ব্যবসায়িক প্রয়োজনে এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা-সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে এই ‘ভিসা থিং’।
‘ভিসা থিং’-এর ব্যবসা কার্যক্রমের প্রধান আহমদ উল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য আন্তর্জাতিক ভ্রমণ-সংক্রান্ত ঝামেলা কমানোই আমাদের উদ্দেশ্য। আমাদের লক্ষ্য হলো, ভিসা আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় সব তথ্য ও ভিসা সরবরাহ সহায়তা প্রদান করা এবং বাংলাদেশি নাগরিকরা যেন ভ্রমণপূর্ব প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই আরো দেশে ভ্রমণ করতে পারে, সে ব্যাপারে সর্বত্র সহযোগিতা করা।’