পাহাড়ের মুগ্ধতা, সমুদ্রের বিশালতা, পুরনো শহরের মায়া আর নতুন শহরের ঝলমলে আলোয় ঘেরা চমৎকার দেশ ভিয়েতনাম। দেশটিতে পা দেওয়ার আগ পর্যন্ত আপনি ঠিক গুছিয়ে চিন্তা করতে পারবেন না যে কী অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। অবশ্য পা দেওয়ার পর আরও বেশি এলোমেলো হয়ে যেতে পারেন! কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখবেন এই চিন্তায়। অসম্ভব সুন্দর সাজানো গোছানো দেশটির পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে ভীষণ মুগ্ধতা। ভিয়েতনামবাসীরা খুবই অতিথি পরায়ন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে পাবেন ভিয়েতনামের ভিসা।
১। যেকোনও ট্র্যাভেল এজেন্সির মাধ্যমে কিংবা অনলাইনে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। ৩ থেকে ৪ কার্য দিবসের মধ্যেই পেয়ে যাবেন ভিসা।
২। ভিয়েতনাম এমব্যাসিতে সরাসরি গিয়ে আবেদন করা যাবে।
৩। অন অ্যারাইভাল ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন অনলাইনে। ফর্ম পূরণ করে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করার দুইদিনের মধ্যে অ্যাপ্রুভাল লেটার বা অনুমোদনপত্র চলে আসবে মেইলে। সেটি দেখালে ভিয়েতনাম এয়ারপোর্টে নেমেই মিলবে স্টিকার ভিসা।
এতসব ঝক্কির মধ্য দিয়ে যেতে না চাইলে ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। অন অ্যারাইভাল ভিসার ক্ষেত্রে ৪ হাজার টাকা নেয় এজেন্সিরা। সেক্ষেত্রে আপনি থাকতে পারবেন একদম নিশ্চিন্ত। ২ থেকে ৩ কার্য দিবসের মধ্যেই মেইলে চলে আসবে অনুমোদনপত্র। ভিয়েতনামে নেমে সেটি দেখিয়ে ২৫ ডলার দিলেই পেয়ে যাবেন ভিসা। চাইলে তাদের কাছ থেকে স্টিকার ভিসাও করিয়ে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সাড়ে ৯ হাজার টাকা খরচ পড়বে।
অন অ্যারাইভাল ভিসার ক্ষেত্রে
১। অন অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়ার জন্য অনুমোদনপত্রের প্রিন্ট কপি নিয়ে যেতে হবে অবশ্যই। রঙিন প্রিন্ট হলে ভালো হয়, না হলেও অসুবিধা নেই।
২। পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি নিয়ে যাবেন। স্টিকার ভিসা পাওয়ার জন্য এটি আবশ্যক।
৩। ২৫ ডলার দিতে হবে স্টিকার ভিসার জন্য।