সিলভেস্টার স্ট্যালনকে সবচেয়ে বেশি শুনতে হয়, তিনি কত টাকার মালিক। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৪৫০ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া তাঁর প্রকৃত বয়স কত, কয়টা বিয়ে করেছেন, গার্লফ্রেন্ড আছে কি না, তাঁর উচ্চতা কত, এমন প্রশ্ন প্রায়ই শুনতে হয় এই অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালককে।

হিরোর হিরো
অসংখ্য ভক্তের তিনি প্রিয় হিরো। কিন্তু তাঁর হিরো কোনো অভিনেতা নন। ব্যক্তিগত জীবনের তিনি তৈলচিত্র খুবই পছন্দ করেন। এই কাজে কিছুটা সময়ও কাটে। তিনি লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চিকে হিরো মনে করেন।
ছিনতাই নয়, অভিনয়
বাসা থেকে তাঁকে বের করে দেওয়ার পর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছেন। থাকতেন বাসস্ট্যান্ডে। এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তাঁর অবস্থা এতই শোচনীয় ছিল যে সেই প্রাপ্তবয়স্কদের সিনেমায় অভিনয় না করলে হয়তো ছিনতাই করতে হতো।
তাঁর অভিনীত ‘রাইনস্টোন’ ১৯৮৪ সালের সেরা বাজে ছবি হিসেবে ১০টি শাখায় মনোনয়ন পায়। পরে তাঁর ক্যারিয়ারের গতি কিছুটা কমে যেতে থাকে।
চুল কাটাতে এক মিলিয়ন অফার
একটি পানীয়ের বিজ্ঞাপনের জন্য তাঁকে চার মিলিয়ন ডলার অফার করা হয়। তিনি রাজি হননি। কারণ তাঁকে চুল কাটাতে হবে। চুল কাটার জন্য সেই কোম্পানি পরে তাঁকে আরও এক মিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তবুও রাজি হননি স্ট্যালন।
‘গডফাদার’ সিনেমায় ছোট একটি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অডিশন দিয়েছিলেন। কিন্তু মুখ কালো করে ফিরতে হয় তাঁকে। হতাশ হয়ে অভিনয় ছেড়ে লেখায় মনোযোগী হতে চেয়েছিলেন। পরে তিনি একটি চিত্রনাট্য লিখে শেষ করেছিলেন।

প্রিয় অক্ষর ‘এস’
ইংরেজি ‘এস’ অক্ষরটি তাঁর ভীষণ পছন্দ। এ জন্য চার সন্তানের নাম রেখেছিলেন এস দিয়ে।
১৪ স্কুল থেকে বহিষ্কার
শৈশবে তাঁর আচরণ ছিল অনেকটাই গুন্ডাদের মতো। বেশির ভাগ সময় স্কুলে মারামারিতে জড়াতেন। গুন্ডাদের মতো ছিল তাঁর আচরণ। সমাজবিরোধী ও সহিংস আচরণের জন্য ১৩ বছরের বয়সে ১৪ বার স্কুল থেকে বহিষ্কৃত হন সিলভেস্টার স্ট্যালন।
