যুক্তরাষ্ট্র সরকার আগামী ১ অক্টোবর ২০২৫ থেকে নতুন একটি ২৫০ ডলারের নতুন “ভিসা ইন্টেগ্রিটি ফি” চালু করতে যাচ্ছে। এই অতিরিক্ত ফি যুক্ত হওয়ার ফলে ভিসা আবেদনকারীদের এখন থেকে মোট ৪৪২ ডলার দিতে হবে—যা বৈশ্বিকভাবে অন্যতম উচ্চতম ভিসা ফি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ট্রাভেল এসোসিয়েশন।
নতুন এই ফি শুধুমাত্র ভিসা ওয়েভার কর্মসূচির বাইরে থাকা দেশগুলোর জন্য প্রযোজ্য হবে। এর আওতায় পড়বে: ভারত, চীন, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল এবং আরও অনেক উন্নয়নশীল দেশ।
২০২৫ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক পর্যটক আগমন কমেছে ৩.১%, যা গত বছরের তুলনায় স্পষ্ট পতন। ওই মাসে মোট ১৯.২ মিলিয়ন (১ কোটি ৯২ লাখ) বিদেশি প্রবেশ করেন যুক্তরাষ্ট্রে।
এর ফলে পঞ্চম মাসের মতো টানা হারে কমলো বিদেশি পর্যটক প্রবেশ—যা কোভিড-পূর্ব পর্যায়ের ৭৯.৪ মিলিয়নের কাছাকাছি যাওয়ার আশাকে আবারও দূরে ঠেলে দিল।
নতুন ফি কাঠামোর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর ওপর। অথচ এই অঞ্চলগুলোই ২০২৫ সালে কিছুটা পর্যটন বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছিল: মেক্সিকো: ১৪% বৃদ্ধি (মে ২০২৫ পর্যন্ত), আর্জেন্টিনা: ২০% বৃদ্ধি, ব্রাজিল: ৪.৬% বৃদ্ধি, মধ্য আমেরিকা: ৩% বৃদ্ধি, দক্ষিণ আমেরিকা: ০.৭% বৃদ্ধি। অন্যদিকে, পশ্চিম ইউরোপ থেকে আগমন ২.৩% হ্রাস পেয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভিসা সংক্রান্ত একাধিক কঠোর নীতি বাস্তবায়ন করছে। আগস্টে একটি প্রস্তাবিত পাইলট প্রোগ্রামে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু পর্যটক ও ব্যবসা ভিসা আবেদনকারীদের থেকে ১৫হাজার ডলার পর্যন্ত জামানত (বন্ড) নেওয়া হতে পারে। এর কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন খসড়া নীতিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানে অংশগ্রহণকারী ও সাংবাদিকদের জন্য ভিসার মেয়াদ কমানোর উদ্যোগ প্রকাশ পায়।
এই পদক্ষেপগুলো যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন সীমিত করা, বৈদেশিক সাহায্য হ্রাস এবং নতুন শুল্ক আরোপের প্রশাসনিক নীতির অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
এই ঘোষণার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে ভিসা আবেদনকারীদের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা গেছে। একজন ভারতীয় আবেদনকারী টুইটারে লিখেছেন, “৮০ লাখ রুপি ব্যাংকে থাকা সত্ত্বেও আমার ভিসা বাতিল! এখন আবার অতিরিক্ত ২৫০ ডলার ফি? কতটা দিতে হবে আমাদের?”