চীনকে পেছনে ফেলে ভারত এখন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। বর্তমানে ভারতে চীনের থেকে ২৯ লাখ বেশি মানুষ আছে। ইউএনএফপিএর রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
বুধবার প্রকাশিত ‘দ্য স্টেট অফ ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিপোর্ট, ২০২৩’-এ দাবি করা হয়েছে— ভারতের বর্তমান জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ। আর চীনের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৫৭ লাখ। অর্থাৎ, চীনের চেয়ে ভারতের জনসংখ্যা এখন ২৯ লাখ বেশি।
প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালে জনসংখ্যা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছিল ইউএনএফপিএ। এর পর থেকে এই প্রথমবার চীনের জনসংখ্যাকে ছাপিয়ে গেল ভারত।
গত বছর চীন তাদের জনসংখ্যার সর্বোচ্চ শিখরে উঠেছিল। তবে তারপর থেকে তাদের দেশের জনসংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এদিকে ভারতের জনসংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। যদিও ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৯৮০ সাল থেকে নিম্নমুখী।
ইউএনএফপিএর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ ০ থেকে ১৪ বছর বয়সের মধ্যে, ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সের নাগরিক জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ, ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সের মানুষের সংখ্যা ২৬ শতাংশ, ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সিদের সংখ্যা ৬৮ শতাংশ এবং দেশের জনসংখ্যার মাত্র ৭ শতাংশ ৬৫ বছরের ওপরে।
আর চীনে শূন্য থেকে ১৪ বছর বয়সের মধ্যে নাগরিকদের সংখ্যা ১৭ শতাংশ, ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সের নাগরিক জনসংখ্যার ১২ শতাংশ, ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সের মানুষের সংখ্যা ১৮ শতাংশ, ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সিদের সংখ্যা ৬৯ শতাংশ এবং দেশের জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ ৬৫ বছরের ওপরে। অর্থাৎ, সে দেশের ২০ কোটি মানুষ ৬৫ বছর বয়সের ওপর।
এদিকে ভারতের তুলনায় চীনা নাগরিকদের গড় বয়স অনেকটা বেশি। চীনে নারীদের গড় বয়স ৮২ বছর, পুরুষরা বাঁচেন ৭৬ বছর। আর ভারতে নারীদের গড় বয়স ৭৪ বছর এবং পুরুষরা বাঁচেন ৭১ বছর।
এছাড়া ভারতের জনসংখ্যার সিংহভাগ যুব সম্প্রদায়ের হওয়ায় তা ভারতীয় অর্থনীতিকে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে চীনের ক্ষেত্রে জনসংখ্যার একটা বড় অংশ বৃদ্ধ হওয়ায় তা দেশের অর্থনীতির ওপর বড় বোঝা বলে মনে করা হচ্ছে।