ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখান থেকে যুক্তরাজ্যে যেতে চেয়েও পারেননি। তাই গত ৫ আগস্ট থেকে বাধ্য হয়ে ভারতেই থাকতে হচ্ছে তাকে।
শনিবার ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতেও শেখ হাসিনার সময় ফুরিয়ে আসছে। কেননা শেখ হাসিনার কূটনৈতিক (লাল) পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার। তার কাছে আর কোনো পাসপোর্ট নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের একটি সূত্র।
ভারতীয় ভিসানীতির আওতায় কূটনৈতিক বা অফিসিয়াল পাসপোর্টধারী বাংলাদেশি নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই সেখানে প্রবেশ করতে পারেন। এরপর তারা ৪৫ দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারেন। আজ পর্যন্ত শেখ হাসিনা ভারতে কাটিয়েছেন ২০ দিন। সেখানে বৈধভাবে তার থাকার সময় শেষ হয়ে আসছে। কেননা নিয়ম অনুযায়ী সেখানে তিনি আর ২৫ দিন থাকতে পারবেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার ফলে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে শেখ হাসিনার। সেখানে তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫১টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে ৪২টি হত্যা মামলা।
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ বিষয়টি ২০১৩ সালে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে হওয়া প্রত্যর্পণ চুক্তির মধ্যে পড়বে, যা ২০১৬ সালে সংশোধন করা হয়। চুক্তিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলায় আসামি হলে অভিযুক্তকে প্রত্যর্পণ বা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানানো যাবে। কিন্তু এই চুক্তিতে হত্যা মামলার বিষয়টি স্পষ্টভাবে রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে রাখা হয়েছে।
তবে মামলাটি ‘ন্যায়বিচারের স্বার্থে হয়’ হলেও দুই দেশ অভিযুক্তকে প্রত্যর্পণ করা থেকে বিরত থাকতে পারে বা অস্বীকৃতি জানাতে পারে।