ভারতের সবচেয়ে পুরোনো ট্রেকিং গুলির মধ্যে একটি হলো হর কি দুন ভ্যালি। শীত এবং গ্রীষ্ম উভয় সিজনেই যাওয়া যায় এখানে। হর কি দুন পিকের পাশাপাশি স্বর্গরোহিনী পর্বতমালা সর্বদা আপনার সাথেই থাকবে মোটামুটি সমস্ত ট্রেকটি জুড়েই।
শীতকালীন বরফাবৃত এলপাইন ম্যাডো, সঙ্গে মেঘ চিরে বেরিয়ে আসা সূর্যকিরণ এবং অন্যদিকে গ্রীস্মকালীন সবুজ উপত্যকা ও সঙ্গে দূরের স্বর্গরোহিনীর মাথার সাদা বরফ জীবনের এক নতুন মানে শেখাবে আপনাকে। তামসা নদীর পাশে ৫ কোটি তারার নিচে ক্যাম্প করে রাত্রি কাটানো আপনার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ঘটনা হিসেবে রয়ে যাবে।
হর কি দুনের শাব্দিক অর্থ ঈশ্বরের উপত্যকা। বলা হয়ে থাকে পঞ্চপান্ডবের কোন একজন এই উপত্যকা দিয়ে স্বর্গারোহিনী পর্বত অতিক্রম করে স্বর্গে যান। স্বর্গরোহিনী পিকই নাকি স্বর্গের শেষ দ্বার এবং সেই থেকেই এই পাহাড়ের এই নাম। স্বর্গারোহিনী পর্বত এই ভ্যালির পাশেই অবস্থিত। মজার বিষয় হচ্ছে এখানকার আঞ্চলিকেরা মনে করেন এই পর্বত মাউন্ট এভারেস্ট থেকেও উঁচু।
যাওয়ার সেরা সময়
অক্টোবর থেকে মার্চ হর কি দুন ট্রেকের জন্য সেরা সময়। এটি একটি মডারেট ট্রেক হিসেবে বিবেচিত হয়। ভালো ভাবে সময় নিয়ে ঘুরতে চাইলে ১০ দিন হাতে নিন।
যাওয়ার উপায়
হর কি দুনে যেতে গেলে আপনাকে ভারতের দেরাদুন যেতে হবে প্রথমেই। সেখান থেকে মোটামুটি ১০ ঘন্টার জার্নি করে সানক্রি গ্রাম যা ১৯৫০ মিটার উচুতে অবস্থিত। এটিই হর কি দুন ট্রেকের বেস ক্যাম্প। সেখান থেকে গাইড নিলে ভাল হয়।
হর কি দুন ভ্যালির শেষটি দুটি পৃথক রাস্তা সৃষ্টি করে, একদিকে মনিন্দ্র তাল ও বরাসু পাস, অন্য দিকে যৌনদও গ্লেসিয়ার এবং এই দুইয়ের মাঝে কর্মনাসা নামক ছোট্ট একটি জলধারা। স্বর্গ দেখতে না পেলেও এই জায়গাটিই আপনার কাছে স্বর্গ হয়ে থেকে যাবে।