শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন

ভয়াবহ তুষারঝড়ের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত কানাডা

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩

গত ৬ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার ভয়াবহ তুষারঝড়ের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কানাডা। দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে তাণ্ডব চালায় শক্তিশালী তুষারঝড়। এতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে সবকিছু। বাতিল করা হয়েছে শতাধিক ফ্লাইট। পূর্বাঞ্চলে তুষারঝড়ের আঘাতে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া কুইবেক ও অন্টারিওর পূর্বাঞ্চলে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঝড়ের আঘাতে অনেক গাছ-পালা উপড়ে পড়ে এবং বিদ্যুৎলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিদ্যুৎসেবা দেওয়া এক প্রতিষ্ঠান এ তথ্য জানিয়েছে।

এ দিকে পরিবেশ মন্ত্রণালয় কুইবেক প্রদেশে শিলাবৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, কিছু এলাকায় গাছ-পালা উপড়ে পড়ার প্রধান কারণ ছিল বড় আকারের শিলাবৃষ্টি, এগুলো এতই ভারী হয়েছিল, অনেক গাছই তা বহন করতে পারেনি। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়, স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১২টায় ১০ লাখেরও বেশি হাইড্রো-কুইবেক গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

হাইড্রো-কুইবেকের টুইটার বার্তায় বলা হয়, ‘ব্যাপক তুষার ঝড়ের কারণে অনেক গাছ বিদ্যুতের লাইনের ওপর ভেঙে পড়ায় এ বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’ এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ১০ লাখ মানুষের প্রায় পাঁচ লাখ হলো মন্ট্রিয়লের বাসিন্দা। সেখানে নগর কর্মীদের উপড়ে পড়া গাছ-পালা ও ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তার সরানোর কাজ করতে দেখা যায়।

এখনও অনেক জায়গায় স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ পরিস্থিতি। উপড়ে পড়া গাছ ও ছিঁড়ে যাওয়া বিদ্যুতের তার সরানোর কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। ব্যাপক তুষারঝড়ে বিদ্যুতের লাইনের ওপর ভেঙে পড়েছে অনেক গাছ। কিছু এলাকায় গাছ উপড়ে পড়ার প্রধান কারণ ছিল বড় আকারের শিলাবৃষ্টি। বৃহস্পতিবার সকালে ঝড়ের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রæডো।

এ সময় ক্ষতিগ্রস্তদের সবধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি খুবই কঠিন সময় আমাদের জন্য। এই অঞ্চলের প্রতিটি মানুষ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গাছপালা ভেঙে গেছে। বাড়ি-ঘর, গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলে আমাদের নিরাপদে থাকতে হবে। আমরা সবাই মিলে এই কঠিন সময় অতিক্রম করবো। সবাই সবার পাশে দাঁড়াবো। প্রতিবেশীদের সহযোগিতা করবো।’

বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে খাবারের জন্য বাসিন্দাদের দীর্ঘ লাইন। অপেক্ষা করেও মিলছে না খাবার। এমন পরিস্থিতিতে সিটি করপোরশনের উদ্যোগে বিতরণ করা হচ্ছে খাবার। বৈরি আবহাওয়া এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে বাতিল হয়েছে স্কুল-কলেজের ক্লাস। এ ছাড়া পিয়েরে এলিয়ট ট্রæডো বিমানবন্দরে বাতিল করা হয়েছে ১১২টি ফ্লাইট। সূত্র : সিবিসি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com