বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের সৃষ্টিশীল উদ্ভাবনী উদ্যমী ব্যবসায়ীদের জন্য প্রায় শূন্য বিনিয়োগে ইনোভেটর ফাউন্ডার ভিসা চালু করেছে ব্রিটেন। আগামী মাস, অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল থেকে এ ভিসা কার্যকর হবে। ভিসার শর্ত পূরণ করতে পারলে তিন বছর পর ব্রিটেনে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ মিলবে।
বাংলাদেশসহ ব্রিটেনের বাইরে বসবাসরত যেকোনও আবেদনকারী ব্রিটেনে প্রস্তাবিত ব্যবসার ধারণাটি নতুন, উদ্ভাবনী ও সম্ভাবনায়– এটি প্রমাণ করাই হলো ইনোভেটর ফাউন্ডার ভিসার মূল শর্ত। মোট ৭০ পয়েন্টের পয়েন্ট বেইজড ভিসার শর্তের মধ্যে ব্যবসাটির ধারণাপত্র তৈরি ও সেটি পাস হলে ৩০ পয়েন্ট, ব্যবসার ধারণাটি ইনোভেটিভ বা উদ্ভাবনী হলে আরও ২০ পয়েন্ট যুক্ত হবে আবেদনকারীর হিসাবে। আর ১০ পয়েন্ট নির্ভর করবে ইংরেজি ভাষার পরীক্ষার ওপর। ইংরেজিতে সিইএফআর (কমন ইউরোপিয়ান ফ্রেমওয়ার্ক অব রেফারেন্স) লেভেল বি টু উত্তীর্ণ হতে হবে। আর ভিসা আবেদনকারীর আর্থিক সক্ষমতার জন্য মিলবে আরও ১০ পয়েন্ট। আর্থিক সক্ষমতার ক্ষেত্রে মাত্র ১২৭০ পাউন্ড আবেদনকারীর ব্যাংক হিসেবে ন্যূনতম ২৮ দিন থাকতে হবে। ১২৭০ পাউন্ড বাংলাদেশি টাকার মূল্যমানে এক লাখ ৭৭ হাজার টাকা।
ব্যারিস্টার শুভাগত দে আরও বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে তরুণ উদ্যমী উদ্যোক্তারা উদ্ভাবনী নানা ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে সাফল্য পাচ্ছেন। এ ভিসা নিঃসন্দেহে সেসব উদ্ভাবনী তরুণদের জন্য সম্ভাবনার সুযোগ এনে দেবে। অতীতে যেসব ব্যবসায়িক ভিসা ছিল, প্রায় সব ক্ষেত্রেই বড় বিনিয়োগের শর্ত ছিল। কিন্তু এবার এই ভিসার ক্ষেত্রে নতুন ব্যবসার ধারণা ও উদ্ভাবনী বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ওয়ার্ক পারমিট বা কেয়ারার ভিসার জন্য ১৮ থেকে ২২ লাখ টাকা খুইয়ে আপনি এখানে আসার পর নিয়োগকারী কাজ দিচ্ছেন না, এমন বাস্তবতা এখন লন্ডনের। ব্রিটেনের অর্থনীতি এখন পড়তির ধারায়। সেই বাস্তবতায় ব্যবসা নিয়ে উদ্ভাবনী ক্ষমতা থাকলে মাত্র চার লাখ টাকার মধ্যে এই ভিসায় কোনও দালালের সাহায্য ছাড়াই ব্রিটেনে আসার সুযোগটি অভিবাসীদের জন্য নতুন সম্ভাবনা বলে মনে করছেন অভিবাসন বিশ্লেষকরা।