ট্রাভেল এজেন্টরা প্রতিদিন নতুন নতুন ট্যুর প্যাকেজের ব্যবস্থা করে। তবে পর্যটন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, বৈশ্বিক সংকটের কারণে এবারের ঈদে পর্যটন ব্যবসা কমে যেতে পারে। তবে গত কয়েক বছরে ঈদের ছুটিতে দেশে বা দেশের বাইরে বেড়ানোর প্রবণতা বেড়েছে।
গত বছর শুধু ঈদুল ফিতরের সময় ১০ লাখ মানুষ দেশীয় পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ করেছেন এবং অন্তত ৫০ লাখ মানুষ বিদেশ ভ্রমণে গেছেন। দেশের পর্যটন খাতে দেড় হাজার কোটি টাকার ওপর ব্যবসা রয়েছে।
ফলে প্রতি বছর ঈদকে কেন্দ্র করে নতুন করে গতি পায় দেশের পর্যটন খাত। বাড়তি আয়োজন থাকে পর্যটন কেন্দ্র, হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে। ট্রাভেল এজেন্টরাও সাজায় নতুন নতুন ট্যুর প্যাকেজ। কিন্তু চলতি বছরের চিত্র একটু ভিন্ন। বৈশ্বিক সংকট দেশের পর্যটন খাতেও প্রভাব ফেলেছে। ট্যুর অপারেটররা কিছুটা বিপাকে পড়েছেন। এমনকি ১০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়েও তারা এখনও কাঙ্ক্ষিত সাড়া পায়নি।
আর এয়ারলাইন্সগুলো বলছে, বিমানভাড়ার বাড়ার কারণে এবার ছুটি কাটাতে বিদেশ যাত্রা গত বছরের তুলনায় অর্ধেকে নামতে পারে।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম জানান, চলতি বছর বিমানভাড়া বৃদ্ধির কারণে বিমান সেবায় মুনাফা কম হবে। ডলারের দর বেশি হওয়ায় খরচ বাড়বে ৩২ শতাংশ। সেই অনুযায়ী গ্রাহকের সামঞ্জস্য করা কঠিন।
চলতি বছর দেশের পর্যটকদের আগ্রহ কক্সবাজার, পাহাড়ি চট্টগ্রাম, কুয়াকাটা ও সিলেটকে ঘিরে। তবে ঈদের সময় সেন্টমার্টিন বন্ধ থাকবে। আর বিদেশের কলকাতা, সিমলা, মানালি, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও থাইল্যান্ড ঘিরৈ আগ্রহ রয়েছে। তবে বিমানভাড়া বেড়ে যাওয়ায় ভারতের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য ট্রেনকে বেছে নিচ্ছেন পর্যটকরা। যে কারণে মিতালি ও মৈত্রী এক্সপ্রেসের সাম্প্রতিক ব্যস্ততা বেড়েছে।
বর্তমানে দেশে অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা প্রায় এক কোটি। যার বড় একটি অংশ ঈদকে ঘিরে ভ্রমণ করে। তবে এবারের ঈদে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তা দেশের পর্যটন খাতে প্রভাব ফেলতে পারে।