শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২২ অপরাহ্ন

বৈধ পথে এসেও রোমানিয়ায় প্রতারণার শিকার বাংলাদেশি শ্রমিকেরা

  • আপডেট সময় শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩

অবৈধ পথে ইউরোপ আসা অভিবাসীদের ঢল মোকাবিলার আলোচনা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে কয়েক বছর ধরেই রাজনৈতিক ও সামাজিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে৷ অন্যদিকে, বৈধ পথে ইউরোপে এসেও শ্রমিকেরা বাধ্য হচ্ছেন অবৈধ পন্থা বেছে নিতে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ রোমানিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে ঘটছে এমনই ঘটনা৷

পূর্ব ইউরোপের দেশ রোমানিয়া সম্প্রতি বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে৷ ইউরোপের বাইরে থেকে শ্রমিক নেয়ার জন্য ২০২২ সালে ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ৷ শেঙ্গেনভুক্ত না হলেও ইউরোপের দেশ হওয়ায় অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন বৈধ পথে রোমানিয়ায় কাজ করতে আসার জন্য৷

কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ম মেনে হলেও বাংলাদেশে রিক্রুটিং এজেন্সির কথা এবং রোমানিয়ায় বাস্তবতায় কোনো মিল নেই৷ দেশটির বিভিন্ন শহরে কাজ করতে আসা বাংলাদেশি শ্রমিকেরা এমন নানা তথ্য তুলে ধরেছেন ইনফোমাইগ্রেন্টসের কাছে৷

নিয়োগের সময় কী বলা হয়?

প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান, ওয়েল্ডার, কার্পেন্টারসহ নানা কাজের জন্য রোমানিয়ান কোম্পানির পক্ষে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সি৷ সরকারের অনুমোদন থাকা এই প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয় গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে কর্মী সংগ্রহ করে, ফলে এর বৈধতা নিয়ে আগ্রহী শ্রমিকদের তেমন কোনো সন্দেহও থাকে না৷

এমনই এক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ইলেকট্রিশিয়ান হিসাবে কাজ করার পারমিট ও ভিসা সংগ্রহ করে রোমানিয়া এসেছেন আহমেদ (ছদ্মনাম)৷ ইনফোমাইগ্রেন্টসকে তিনি জানান, সত্যমিথ্যা যাচাই করার জন্য জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এর ওয়েবসাইটে গিয়েও রিক্রুটিং এজেন্ট এশিয়া কন্টিনেন্টাল গ্রুপ-এর বৈধতা নিশ্চিত হন তিনি৷

এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে পাসপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জমা দেয়ার কিছুদিন পরই তাদের জানানো হয়, রোমানিয়ার নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা তাদের সাক্ষাৎকার নিবেন৷ প্রথম ইন্টারভিউয়ে ৩৯ জনের মধ্য থেকে তিন জনকে বাছাই করা হয়

আহমেদ বলেন, ‘‘ইউরোপের একটা দেশ রোমানিয়া৷ আমরা দেখলাম ভালো বেতন, ৬৫০ ডলার বেতন, থাকা খাওয়া ফ্রি, প্রতি তিন-চার জনের জন্য একটা করে ফ্ল্যাট৷ কাজ হবে আট ঘণ্টা, অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইমও দেয়ার কথা বলা হয়৷ তখন আমরা ভাবলাম, ইউরোপের একটা দেশ, সেখানে মানবাধিকারের নিশ্চয়তা রয়েছে৷ ফলে আমরা কাজের জন্য রাজি হয়ে যাই৷’’

বাংলাদেশি শ্রমিকদেরর অভিযোগ, ছোট্ট রুমে গাদাগাদি করে থাকতে হয় তাদের। ছবি: ইনফোমাইগ্রেন্টস।
বাংলাদেশি শ্রমিকদেরর অভিযোগ, ছোট্ট রুমে গাদাগাদি করে থাকতে হয় তাদের। ছবি: ইনফোমাইগ্রেন্টস।

এরপর তাদের কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে এক লাখ টাকা করে নেয়া হয়, যার বিনিময়ে দেয়া হয় রশিদ৷ মোট কত টাকা লাগবে জিজ্ঞেস করার পর রিক্রুটিং এজেন্সি তাদের জানায়, সরকার নির্ধারিত খরচই তাদের দিতে হবে, এর বেশি না৷

এশিয়া কন্টিনেন্টাল গ্রুপের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ১৮ এপ্রিল সাতটি পদে ২০০ জন শ্রমিকের নিয়োগের অনুমতি দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করে৷ সেখানে শর্তাবলীর মধ্যে শ্রমিকদের কাছ থেকে ভিসা এবং ফ্লাইট নিশ্চিত হওয়া সাপেক্ষে অভিবাসন ব্যয় হিসাবে সর্বোচ্চ চার লাখ ৪০ হাজার টাকা গ্রহণ করা যাবে৷

কিন্তু আহমেদ জানান, ভিসা ও বিমান টিকিট হওয়ার পর তাদের কাছে মোট সাত লাখ টাকা দাবি করা হয়৷ এ নিয়ে প্রতিবাদ জানালে প্রয়োজনে তাদের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার কথাও বলা হয় এজেন্সির পক্ষ থেকে৷

তিনি বলেন, ‘‘আমি আমার আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে টাকা ধার নিলাম৷ তারা বললো, ঠিক আছে নাও, গিয়ে আস্তে আস্তে শোধ করে দিও৷ আমিও ভাবলাম, প্রথম মাসে গিয়েই তো বেতন পাবো, শোধ করে দিবো৷’’

‘শ্রমিক বিক্রি’ করে রোমানিয়ার কোম্পানি

আহমেদসহ ৮০ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে যাওয়া হয় রোমানিয়ার রাজধানী থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ি শহর সিবিউতে৷ এরপর তাদের কাজ না দিয়ে ’বিক্রি’ করে দেয়া হয় অন্য কোম্পানির কাছে৷

অন্যদের মতো আহমেদকেও কদিন পর আরেকটি কোম্পানিতে ’বিক্রি’ করা হয়৷ এবার যে ইটালিয়ান কোম্পানিতে তিনি কাজ পান, সেখানে তাকে ইলেকট্রিশিয়ান হিসাবে নিয়োগ দেয়া হলেও প্রথম দিনই দেয়া হয় গাড়ি ধোয়ার কাজ৷ এরপর বাগান পরিষ্কার করা থেকে নানা কাজই তাদের দিয়ে করানো হয়৷ আহমেদ বলেন, ‘‘একদিন আমাদের ওরা বললো টয়লেট পরিষ্কার করতে৷ আমরা তখন বললাম, এটা তো ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ না৷ এটার জন্য আলাদা লোক আছে৷ আসলে আমরা যাওয়ার পর ওরা ওদের ক্লিনার ডিপার্টমেন্টের শ্রমিকদের কাজে আসতে না করে দিয়েছে৷ তখন থেকে মাল ওঠানো নামানো থেকে শুরু করে সবই আমাদের দিয়ে করানো হয়৷’’

আহমেদ বলেন, ‘‘এভাবে কাজ করতে করতে একমসয় মাসের ২৫ তারিখ চলে আসে, এক মাস হয়ে গেছে৷ তখন নতুন এই কোম্পানির সবাই বেতন পাচ্ছে, আমাদের আর দিচ্ছে না৷ তখন বেতন চাইলে ওরা বলে, তোমরা তো আমাদের লোক না৷ তোমাদের তো আমরা বেতন দিবো না৷ যে কোম্পানি তোমাদের এদেশে নিয়ে এসেছে, তারা তোমাদের বেতন দিবে৷ ওরা আমাদের কাছে তোমাদের বিক্রি করে দিয়েছে৷ এখন তোমরা আমাদের চাকর৷ আমরা যা বলবো, সেই কাজই করবে৷’’

কর্মীরা মূল কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করলে ‘থাকা-খাওয়ার’ ব্যবস্থা করে দেয়াকেই তাদের বেতন বলে উল্লেখ করেন কর্মকর্তারা৷

কথা-কাজে মিল নেই

বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে শর্তাবলীর মধ্যে একটি শর্ত দেয়া হয়েছে, ‘‘চুক্তিপত্রের কোনো শর্ত লঙ্ঘন হবে না, অনুমোদিত কর্মীরা সংশ্লিষ্ট কোম্পানিতে অবশ্যই চাকুরি পাবে এবং প্রত্যেক কর্মীকে প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা, আবাসন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে৷’’

কাজের সময়ও দৈনিক আট ঘণ্টা এবং সপ্তাহে পাঁচ দিন শর্ত হিসাবে বেঁধে দিয়েছে মন্ত্রণালয়৷ আরেকটি শর্তে বলা হয়েছে, ‘‘চাকুরির শর্তাবলী রোমানিয়ার শ্রম আইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে৷’’

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা- আইএলও এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা রোমানিয়ার লেবার কোড-এ শ্রমিকদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে যে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে কাজের বিনিময়ে বেতনের অধিকার, দৈনিক বিশ্রামের পর্যাপ্ত সময়, বার্ষিক ছুটি, কর্মক্ষেত্রে মর্যাদা, সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা এবং স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা৷

বুখারেস্ট থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে আরেক শহর ওল্টে থাকেন আরেক বাংলাদেশি শ্রমিক জাহাঙ্গীর (ছদ্মনাম)৷ তিনিও নিয়োগ পেয়েছিলেন ইলেকট্রিশিয়ান হিসাবেই৷ কিন্তু জাহাঙ্গীর ইনফোমাইগ্রেন্টসকে জানান, আহমেদের মতোই তাকেও যে কোম্পানি নিয়ে এসেছিল, রোমানিয়া আসার পর বিক্রি করে দেয় আরেক কোম্পানির কাছে৷ এখন তাকে দিয়েও সব ধরনের কাজ করানো হচ্ছে৷

কিন্তু বাংলাদেশি শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের যতক্ষণ ইচ্ছা, যা ইচ্ছা কাজ করানো হলেও এ নিয়ে কোনো কথা বলার সুযোগই দেয়া হয় না৷

জাহাঙ্গীর বলেন, ‘‘ডিউটি ৮ ঘণ্টার কথা বলে এখন ১২-১৩ ঘণ্টা করাচ্ছে৷ এমন জায়গায় থাকতে দেয়া হয়েছে, যেখানে ১৪ জন মানুষের জন্য একটা ওয়াশরুম৷ সবাই একসঙ্গে ঘুম থেকে উঠলে সময়মতো কাজে যাওয়াই সম্ভব হয় না৷ কোনো কিচেন নাই৷ খুব খারাপ একটা জায়গায় রেখেছে৷ প্রথম এক মাস কোনো বেতন দেয় নাই৷ যে কোম্পানিতে এখন আছি, সেই কোম্পানিও এক মাস বেতন দিবে না৷ একেবারে যা তা পরিস্থিতি৷’’

অভিবাসীরা নিজেদের কাজের এবং আবাসনের পরিস্থিতির বেশ কিছু ভিডিও পাঠিয়েছেন ইনফোমাইগ্রেন্টসকে৷ একটি ভিডিওতে দেখা যায় পরিত্যক্ত একটি বাস্কেটবল খেলার কোর্টে গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে শ্রমিকদের৷ ইউরোপের দেশে কাজের কথা বলে নোংরা পরিবেশে এভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করে দেয়ায় ভিডিওটিতে ক্ষোভও প্রকাশ করতে শোনা যায় কয়েকজন শ্রমিককে৷

রোমানিয়ায় কর্মরত দুই বাংলাদেশি শ্রমিক। ছবি: ইনফোমাইগ্রেন্টস।
রোমানিয়ায় কর্মরত দুই বাংলাদেশি শ্রমিক। ছবি: ইনফোমাইগ্রেন্টস।

রোমানিয়া আসতেই কয়েক লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে৷ স্থায়ী বসবাসের অনুমতিও পান না অনেকেই৷ ফলে পুলিশের কাছে অভিযোগ নিয়ে গেলে পারমিট বাতিল করে দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে, এমন ভয় কাজ করে অনেকেই মধ্যেই৷

অভিযোগ মানতে নারাজ বাংলাদেশের এজেন্সি

কর্মীদের অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সি এশিয়া কন্টিনেন্টাল গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইনফোমাইগ্রেন্টস৷ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম জানান, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই৷

বাংলাদেশ থেকে অনেক প্রতিষ্ঠানই রোমানিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর কাজ করছে৷ সালামের অভিযোগ, তার প্রতিষ্ঠান এশিয়া কন্টিনেন্টাল অন্যদের চেয়ে এ কাজ ভালোভাবে করছে বলে শত্রুতাবশত অন্যরাই কর্মীদের ‘উসকানি’ দিয়ে এসব ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য’ ছড়াচ্ছেন৷

তিনি দাবি করেন, সরকার নির্ধারিত টাকার বাইরে তার প্রতিষ্ঠান কোনো টাকা নেয়নি৷ তবে কেউ সাব-এজেন্টের মাধ্যমে অন্য কাউকে টাকা দিয়ে থাকলে সে বিষয়ে তাদের কিছু করার থাকে না৷

এক কাজের কথা বলে অন্য কাজ করানোর বিষয়ে অভিযোগ তাদের কাছেও এসেছে বলে জানান আব্দুস সালাম৷ এ নিয়ে রোমানিয়ার কোম্পানির সঙ্গে কথা হয়েছে এবং প্রয়োজনে তারা আবারও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন৷ বেতনের সমস্যারও শিগগিরই সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ রোমানিয়ান কোম্পানি বাংলাদেশি কর্মীদের শ্রম আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করালে প্রয়োজনে আইনী সহায়তা প্রদানের প্রস্তুতি তাদের রয়েছে বলেও জানিয়েছেন সালাম৷

অসহায় দূতবাসও

শ্রমিকদের মধ্যে একই ভয় কাজ করে রিক্রুটিং এজেন্সির নামে রোমানিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসে লিখিত অভিযোগ দিতেও৷ রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী ইনফোমাইগ্রেন্টসকে বলেন, এমন অভিযোগ সম্পর্কে তারা অবগত রয়েছেন৷ কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশি শ্রমিকরা দূতাবাসে কোনো অভিযোগ করতে চান না৷

তিনি বলেন, ‘‘অনেকেই আমাদের বলে, ‘আমাদের ঠকানো হয়েছে, আমাদের কাজ দেন’৷ কিন্তু কে ঠকিয়েছে জিজ্ঞেস করলে তারা বলে, ‘এটা বললে তো আমার বিপদ হবে, বলতে পারবো না৷ আমরা চেষ্টা করেছি এখন পর্যন্ত যতদূর সম্ভব৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত একজনও আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করতে চায় না তার রিক্রুটিং এজেন্টের নামে৷’’

স্বপ্রণোদিত হয়ে দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে কিনা, জিজ্ঞেস করলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘‘বাংলাদেশে নিবন্ধিত এজেন্সি রয়েছে সম্ভবত ১৬০০ এর কাছাকাছি৷ এই ১৫-১৬’শ সবাই তো খারাপ নয়৷ আমরা যদি কোনো তথ্য না পাই, কার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিবো? কার বিরুদ্ধে আমি সরকারের কাছে লিখবো যে এই রেজিস্টার্ড এজেন্ট লোক ঠকিয়েছে৷’’

শ্রমিক পাঠানোর শর্তে প্রত্যেক গ্রুপে কর্মী রোমানিয়া পৌঁছানোর পর রিক্রুটিং এজেন্সির এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিএমইটি এবং রোমানিয়া দূতাবাসে প্রতিবেদন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থাকলেও কোনো এজেন্সিই তা মানে না বলেও জানান রাষ্ট্রদূত দাউদ আলম৷

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com