শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন

বৈধ অভিবাসন নিশ্চিতে যুক্তরাজ্যে চালু হচ্ছে ই-ভিসা

  • আপডেট সময় বুধবার, ৮ মার্চ, ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রের আদলে ভিসার ইলেকট্রনিক অনুমোদন ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে ব্রিটেন৷ ২৪ মে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল এই পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন৷ যুক্তরাজ্যের সব সীমান্ত শতভাগ ডিজিটাল করার চূড়ান্ত প্রস্তাব প্রকাশ করেন তিনি। এই ব্যবস্থায় যেসব মানুষ যুক্তরাজ্যে অভিবাসী হিসেবে অথবা ভিসা ছাড়া প্রবেশ করবেন তাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইএসটিএ মডেলের আদলে একটি অনলাইন ট্রাভেল অথোরাইজেশন (ইটিএ) আবেদন করতে হবে। প্রতি বছর প্রায় তিন কোটি ইটিএ আবেদন জমা পড়তে পারে বলে বলে ধারণা করছে ইউকে বর্ডার এজেন্সি।

২০২৫ সালের মধ্যে পুরোপুরি কার্যকর হতে যাওয়া এই ডিজিটাল বর্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ইউকে বর্ডার এজেন্সিকে পুরো নিরাপত্তা সিস্টেম পরিবতর্ন ও হালনাগাদ করতে হবে।

প্রীতি প্যাটেল বলেন, এই ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে যুক্তরাজ্যে যারা আসছে ও যারা বাইরে যাচ্ছে তাদের হিসাব রাখা৷ নতুন এই ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্তরাজ্যে আগমনকারী ব্যক্তির তথ্য জানা যাবে। যার ফলে গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত কোন অপরাধী সীমান্তে প্রবেশের আগেই ইউকে বর্ডার এজেন্সি সেটি প্রতিহত করতে পারবে বলে জানান প্যাটেল৷

ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় ও অভিবাসন পদ্ধতি পরিবর্তনে প্যাটেলের পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই ই-ভিসা পদ্ধতিটি চালু করা হচ্ছে৷ মার্চ মাসে, তিনি হাউস অব কমন্সে আশ্রয় ব্যবস্থার উপর একটি সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করেন৷ এই পরিকল্পনা অনুযায়ী যারা বৈধ নিয়ম মেনে আসবেন না তারা বৈধভাবে প্রবেশকারীদের মতো সমান অধিকার ভোগ করবেন না৷

উদাহরণস্বরূপ, যদি কোন অভিবাসী বৈধ উপায়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ না করে এবং তার আশ্রয়ের আবেদন গৃহীত হয় সেক্ষেত্রে আগের মতো স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি দেয়া হবে না৷ তাকে অস্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেওয়া হবে। নতুন আইনে, অস্থায়ীভাবে যুক্তরাজ্যে থাকা অবস্থায় একজন আশ্রয়প্রার্থী চাইলে অন্য কোন দেশেও আশ্রয় আবেদনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারবেন।

নতুন এই প্রস্তাবের সমালোচনা করেছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, নতুন এই সংস্কার প্রস্তাবের কারণে যুক্তরাজ্যের ‘বৈশ্বিক অবস্থান’ প্রশ্নের সম্মুখীন হবে। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, তারা যুক্তরাজ্য থেকে বহিষ্কার হওয়া শরণার্থীদের সুবিধা দিতে পারে এরকম কোন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করবে না৷

অবশ্য প্রীতি প্যাটেল বলেছেন, এই পরিকল্পনা অনুযায়ী পাচারকারীদের হাত থেকে অনেক মানুষের জীবন রক্ষা পাবে।

ইমিগ্রেশন নিউজ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com