প্রায় ১৭ হাজার দ্বীপ দিয়ে পরিবেষ্টিত দেশ ইন্দোনেশিয়া। চলুন বৈচিত্র্যপূর্ণ চমৎকার এই দ্বীপরাষ্ট্র সম্পর্কে জেনে নেই কিছু তথ্য:
১. কানাডার পর পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলটি ইন্দোনেশিয়া, যার দৈর্ঘ্য ৫৪,৭১৬ কিলোমিটার।
২. ব্রাজিলের পর ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ জীববৈচিত্র্যের দেশ। এখানে রয়েছে হাতি, বাঘ, চিতা, গণ্ডার ও বৃহদাকার বানরসহ আরো অনেক প্রাণী।
৩. দেশটির প্রায় ৬০ শতাংশ বনভূমি। এখানে ৬০০ প্রজাতির পাখির বাস। এই পাখিদের ২৬ শতাংশ পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায় না। এই জীববৈচিত্র্যের প্রধান কারণ এর দীর্ঘ উপকূলরেখা।
৪. ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় ফুল রয়েছে তিনটি। যার একটির নাম রাফলেশিয়া আরনোন্ডি। এই ফুলের ওজন এগারো কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং চওড়া হয় প্রায় এক মিটার।
৫. ইন্দোনেশিয়ার জাভা পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দ্বীপ। এই দ্বীপের প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৯৪০ জন মানুষ বসবাস করে।
৬. দেশটির অর্থনীতিতে পর্যটন বিশাল ভূমিকা পালন করে। ১৭ হাজার দ্বীপ, বিশ্বের ২য় বৃহত্তম তটরেখা, ৩০০টি ভিন্ন ভিন্ন গোত্র এবং ২৫০টি ভিন্ন ভাষার দেশ ইন্দোনেশিয়ার প্রকৃতি ও সংস্কৃতি দেশটির পর্যটন শিল্পের প্রধান উপাদান।
৭. ইন্দোনেশিয়া মূলত মুসলিম প্রধান দেশ। এই দেশের জনসংখ্যার ৮৬ শতাংশ মুসলিম। তবে, ব্যতিক্রম শুধুমাত্র বালি দ্বীপ। এখানে বসবাসকারী অধিবাসীর ৮০ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী।
৮. ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ইনস্টাগ্রাম পোস্ট করা হয়।
৯. ইন্দোনেশিয়ায় ১৩০টির মতো জীবন্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে। প্রতি বছর কোন না কোন আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত হয়।
১০. বিশ্বের বৃহত্তম সরীসৃপ গিরগিটি কমোডোর দেখা মেলে শুধুমাত্র ইন্দোনেশিয়ার কমোডো, রিনকা, ফ্লোরস, গিলি মোটাং, এবং পাদর দ্বীপপুঞ্জগুলোতে।
১১. যারা বন্য পরিবেশে উপভোগ করেন তাদের জন্য জনমানবহীন সুমাত্রা হতে পারে ইন্দোনেশিয়ার প্রধান আকর্ষণ। বেশিরভাগ পর্যটকরা চলে যান বুকিত লুয়াং এর ওরাঙ্গুটাং অথবা উত্তর টাংকাহানের রেইনফরেস্ট দেখতে। যে বনের পাহারায় রয়েছে বিশাল হাতির দল। কড়া স্বাদের সুমাত্রান কফিতে চুমুক দিতে দিতে ভাবতে পারেন সারাদিন কি কি করার আছে এই বনে।